বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে নম্বর উঠানো সহজ। খুব বেশি পড়তে হবে না। অল্প পড়েই ভালো নম্বর তুলা যায়। তাই বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) নিয়ে বকবক শুরু করলাম।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) :
পরীক্ষার নম্বরঃ ১০০।
সময়ঃ ৩ ঘন্টা বা ১৮০ মিনিট।
প্রতি ১ নম্বরের জন্য সময় পাবেন গড়ে ১.৮ মিনিট।
প্রথমেই বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) এর সিলেবাস দেখে নিন।
টপিক | অন্তর্ভুক্ত বিষয় | পূর্ণমান |
ধারণাগত সমস্যা (Conceptual Issues) | আন্তর্জাতিক বিষয়ের পরিচিতি: আন্তর্জাতিক বিষয়ের তাৎপর্য; আন্তর্জাতিক বিষয়ের অর্থ এবং সুযোগ; আন্তর্জাতিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে সংযোগ। বিশ্ব রাষ্ট্র এবং সরকার উপস্থাপনাকারী মানুষ/দল: আধুনিক রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের ধরন, সার্বভৌমত্ব, অ-রাষ্ট্রীয় অভিনেতা, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, সরকার রিপ্রেজেন্টকারী দল ও সরকার প্রভাবমুক্ত দলের(NGOs) সম্পর্ক। শক্তি এবং নিরাপত্তা: শক্তি, জাতীয় শক্তি, ক্ষমতার ভারসাম্য, নিরস্ত্রীকরণ, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ভূরাজনৈতিক, সন্ত্রাসবাদ। প্রধান ভাবনা ও মতাদর্শ: জাতীয়তাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, নয়া-উপনিবেশবাদ, উত্তর-আধুনিকতা, বিশ্বায়ন এবং নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা। বৈদেশিক নীতি এবং কূটনীতি: বৈদেশিক নীতি এবং কূটনীতির ধারণা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া, বৈদেশিক নীতি নির্ধারক, কূটনৈতিক কার্যাবলী, অনাক্রম্যতা এবং বিশেষাধিকার। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, মুক্ত বাণিজ্য, সুরক্ষা, বৈদেশিক সাহায্য, ঋণ সংকট, সরাসরি বিদেশ বিনিয়োগ (এফডিআই), আর্থিক উদারীকরণ, আঞ্চলিকতা, আঞ্চলিকীকরণ, উত্তর-দক্ষিণ ব্যবধান, বৈশ্বিক দারিদ্র্য, এমডিজি। বৈশ্বিক পরিবেশ: পরিবেশগত সমস্যা চ্যালেঞ্জ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা, জলবায়ু অভিযোজন, জলবায়ু কূটনীতি। | ১২ টি প্রশ্ন থেকে ১০টির উত্তর দিতে হবে। ৪*১০= ৪০ নম্বর। |
পরীক্ষামূলক সমস্যা(Empirical Issue) | জাতিসংঘ ব্যবস্থা: জাতিসংঘ এবং তার অঙ্গ, জাতিসংঘের গুরুত্ব ও সীমাবদ্ধতা, জাতিসংঘের সংস্কার ও ভূমিকা, নিরাপত্তা পরিষদ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা এবং শান্তি-নির্মাণের কার্যাবলী, মানবাধিকার কর্মসূচি, পরিবেশগত কর্মসূচি। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, এবং নারীর ক্ষমতায়ন প্রধান শক্তির বৈদেশিক সম্পর্ক: যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, জাপান ইত্যাদি। বৈশ্বিক উদ্যোগ এবং প্রতিষ্ঠান: বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জি,, জি-77, ডব্লিউটিও, কিয়োটো প্রটোকল, সিওপি ইত্যাদি। আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান: সার্ক, বিমসটেক, ইইউ, আসিয়ান, ন্যাটো, এপেক, ওআইসি, এইউ, জিসিসি বিশ্বের প্রধান সমস্যা এবং সংঘাত: ফিলিস্তিন সমস্যা, আরব বসন্ত, কাশ্মীর ইস্যু, সিরিয়ার সংকট, ফার্সি উপসাগরীয় দ্বন্দ্ব, পারমাণবিক সমস্যা এবং ইরান, উত্তর কোরিয়ার সমস্যা, দক্ষিণ -পূর্ব ও পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক বিরোধ, পারমাণবিক বিস্তার এবং অন্যান্য সমসাময়িক সমস্যা। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক, আঞ্চলিক সংহতি, জল বিরোধ, সীমান্ত সমস্যা এবং সন্ত্রাস। আন্তর্জাতিক বিষয়ে বাংলাদেশ: প্রধান অর্জন, চ্যালেঞ্জ, ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা | ৪টি প্রশ্ন থেকে ৩টির উত্তর দিতে হবে। ৩*১৫= ৪৫ নম্বর। |
সমস্যা সমাধান | প্রার্থীদের বৈশ্বিক উন্নয়নের যে কোন দিক এর সমস্যা বিশ্লেষণ এবং তার সমাধান নিয়ে আসতে বলা হতে পারে। সমস্যার মধ্য- নিরাপত্তা সমস্যা, যেমন বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈদেশিক সাহায্য, অস্ত্র বিস্তার ইত্যাদি হতে পারে। | ১৫ |
মোট নম্বর | ১০০ |
প্রশ্ন ৩টি ভাগে বিভক্ত।
- কনসেপচুয়াল বা ধারণাগত সমস্যা। (Conceptual Issues)
- পরীক্ষামূলক সমস্যা। (Empirical Issues)
- সমস্যা সমাধান। (Problem-solving Issues)
বিস্তারিত পুরো সিলেবাস পড়ে নিতে এই আর্টিকেল পড়ুন।
চলুন টার্গেট মার্কস কিরকম হতে পারে দেখে নিই।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) টার্গেট মার্কসঃ
ক. কনসেপ্চুয়াল ইস্যু: ২৫-৩০। মোট নম্বর = ৪০।
খ. ইম্পেরিক্যাল ইস্যু: ২৭-৩৩। মোট নম্বর = ৪৫।
গ. প্রবলেম সলভিং: ১০-১২। মোট নম্বর = ১৫।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ৬৫-৭০ ভালো নম্বর ধরা হয়। তবে এর বেশিও পেতে পারেন। উত্তরে যথেষ্ঠ রেফারেন্স, মানচিত্র দিলে ৮০ নম্বর ও পাওয়া যায়।
৪৭ তম বিসিএস প্রস্তুতি নিতে আমাদের এই প্রোগ্রামে এখনই এনরোল করুন।
কিভাবে বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) প্রস্তুতি নিবেন?
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলীর মত আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু সিলেবাস ৩ ভাগ করা। তাই আলাদাভাবে প্রতিটির প্রস্তুতি নিয়ে বলছি।
১। কনসেপচুয়াল ইস্যু
এই সেকশনে মোট নম্বর ৪০। ১২টি প্রশ্ন আসবে। আপনাকে ১০টির উত্তর দিতে হবে।
- এই অংশে বেশিরভাগই সংজ্ঞা (Definition) আসে। কিছু নির্দিষ্ট টপিকের উত্তর দিতে হবে। কোটেশন ব্যবহার করলে নম্বর ভালো পাবেন।
- পার্থক্য চাইলে ছক আকারে দিবেন। পার্থক্য কোন সময়ই ছক ব্যতীত দিবেন না।
- ১০টি প্রশ্নের জন্য সময় পাবেন ৭২ মিনিট। তাই সময় নষ্ট করা যাবে না। যে প্রশ্নে যা উত্তর চেয়েছে, সেটুকুই উত্তর দিবেন। খাতা ভরিয়ে লিখে কোন লাভ নাই। অতীতে বেশি লিখলে মার্ক পাওয়া যেত।
- কিন্তু বর্তমানে খাতা ২জন পরীক্ষক দেখেন। তাই কম লিখেন কিন্তু যৌক্তিক লিখেন।
কনসেপচুয়াল (Conceptual) অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টপিকঃ
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির পারস্পরিক বিষয়গুলো থেকে এখানে প্রশ্ন আসে।
রাষ্ট্রের প্রকৃতি, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, জাতি-রাষ্ট্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, ক্ষমতার ভারসাম্য, জাতীয়তাবাদ, অস্ত্র, সন্ত্রাসবাদ, উপনিবেশবাদ, বিশ্বায়ন ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে জানতে হবে।
২। পরীক্ষামূলক ইস্যু (Empirical Issue)
এই অংশে ৪টি থেকে ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১৫। তাই উত্তর একটু বড় করে লিখতে হবে। সময় পাবেন ৮০ মিনিট।
- আপনার উত্তর অবশ্যই বিশ্লেষণধর্মী হতে হবে।
- প্যারা প্যারা করে লিখবেন না। পরীক্ষক পয়েন্ট গুলো দেখতে চান। তাই বুলেট পয়েন্ট আকারে লিখবেন।
- ম্যাপ, চার্ট অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। যা বলতে চাচ্ছেন, তা যাতে ছবি বা চার্টের মাধ্যমে বুঝানো যায়। ম্যাপ, চার্টের ব্যবহারই আপনাকে ভাল মার্কস এনে দিবে।
- প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ভূমিকা দিবেন। ভূমিকাতে আপনার উত্তর কিভাবে দিচ্ছেন, সেটা নিয়ে বলবেন।
- উত্তর শেষ করার আগে উপসংহার অবশ্যই এড করতে হবে। আপনার পুরো উত্তরে সংক্ষিপ্ত একটা প্যারাই হল উপসংহার।
*মনে রাখবেন, পরীক্ষকের চোখে সূচনা আর উপসংহার গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই পার্টে ভালো করলে ভালো নম্বর কেউ ঠেকাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ্।
এই অংশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক
জাতিসংঘ ও তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, কার্যাবলিসহ আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বের প্রধান প্রধান সমস্যা ও দ্বন্দ্ব, বিশ্ববাণিজ্য, উন্নয়ন, বিনিয়োগসহ চলমান গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো ভালোভাবে পড়বেন।
এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, দূরপ্রাচ্য, দক্ষিণ চীন সাগর, ভূমধ্যসাগর এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও সামরিক জোট, ইইউ, রাশিয়া, চীন, আমেরিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে উত্তর করা সহজ হবে।
আরও পড়ুনঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রস্তুতি
৩। সমস্যা-সমাধান (Problem-Solving)
এখানে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলা হবে। আপনাকে সমাধান নিয়ে লিখতে হবে।
এই অংশে নম্বর থাকবে ১৫। সময় পাবেন ২৭ মিনিট।
- এখানে অনেকেই একটা ভুল করেন। সবাই সমস্যাকে অতিরঞ্জিত করে ফেলেন। মনে রাখতে হবে আপনার কাজ সমাধান দেয়া। সমস্যাকে বড় বা ছোট করা নয়। তাই সমাধানের দিকে নজর দিবেন।
- কমন বা আনকমন নিয়ে মাথা ঘামানো লাগবে না। কারণ আনকমন আসলেও সমস্যা নেই। পরীক্ষক দেখতে চাইবেন, একটা সমস্যা থেকে সমাধানের পথ আপনি কিভাবে বের করেন।
- তাই যেকোন সমস্যাই আসুক, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। নিজেকে ওই সমস্যায় কল্পনা করবেন। আপনি ওই সমস্যায় পড়লে কি করতেন? কমন সেন্স কাজে লাগাতে হবে।
- উত্তরে রেফারেন্স যোগ করতে হবে। ধরেন প্রশ্ন আসল তিস্তা চুক্তি নিয়ে। উত্তরে যদি আপনি দুই দেশের রেফারেন্স যোগ করতে পারেন, তাহলে কেল্লাফতে। রেফারেন্সের মধ্যে ওয়েবসাইট, পত্রিকার আর্টিকেল, লেখক, রাজনীতিবিদদের উক্তি প্রাধান্য পাবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক
বাংলাদেশ, ভারত, চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান—এসব দেশের মধ্যকার সম্পর্ক বা সমস্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বৈদেশিক সাহায্য, বৈশ্বিক পরিবর্তন, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশদূষণ, বৈশ্বিক অস্থির-যুদ্ধাবস্থা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে।
মোটের মধ্যে এই হল সিলেবাস। আর সিলেবাসের প্রতিটি টপিকের প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন তার বৃত্তান্ত।
এখন কি কি বই পড়বেন তা দেখে নিন।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) বুকলিস্ট
১। প্রফেসরস অথবা এসিউরেন্সের গাইড বই। দুটোই ভাল। যেকোন একটি নিতে পারেন। দুইটাই কিনতে যাবেন না আবার! একটাই যথেষ্ঠ।
২। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি – শাহ্ মো. আব্দুল হাই। এই বইটি খুবই ভালো। কনসেপচুয়াল ইস্যুর জন্য এই বইয়ের বিকল্প নাই।
৩। বিশ্বরাজনীতির ১০০ বছর – তারেক শামসুর রেহমান।
৪। নয়া বিশ্বব্যবস্থা ও সমকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতি – তারেক শামসুর রেহমান।
এই বই দুইটি ইতিহাসের জন্য খুবই ভালো। একটায় পূর্ববর্তী সব তথ্য পাবেন। অন্যটায় সমসাময়িক তথ্য পেয়ে যাবেন।
৫। প্রতিদিন ২টি নিউজপেপারের আন্তর্জাতিক কলাম পড়তে হবে। আমি সাজেস্ট করব প্রথম আলো এবং দ্য ডেইলি স্টার এই দুটি পত্রিকা পড়ার।
৬। এছাড়া উইকিপিডিয়া, মন্ত্রণালয়ের সব ওয়েবসাইট থেকে সিলেবাসের টপিক দেখে সব নোট নিবেন। পুরো সিলেবাস একসাথে বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন।
৭। বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এগুলো থেকে হুবুহু কমন পড়বে।
রাইটিং ভালো করার কৌশল
অনেকের হাতের লেখা সুন্দর না। বা কারো লেখার স্টাইল ভালো না। আপনারা চাইলে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
১। প্রতিটি লাইনের পর ১ আঙুল ফাঁকা রেখে আরেক লাইন লিখবেন।
২। দুইটি শব্দের মধ্যে ১ আঙুল ফাঁক রাখবেন।
৩। মার্জিন থেকে একটু ফাঁক রেখে লিখা শুরু করবেন।
৪। পৃষ্ঠার একেবারে নিচে ২-৩ আঙুল জায়গা খালি রাখবেন। ওই জায়গায় কোন কিছু লিখবেন না।
৫। চেষ্টা করবেন যাতে কাটাকাটি কম হয়।
কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করবেন, এই নিয়ে একটা ভিডিও আছে। দেখতে পারেন।
পরিশেষে, লিখিত পরীক্ষায় মোট নম্বর ৯০০। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ১০০ নম্বর থাকবে। এখানে ৬৫-৭০ নম্বর খুব সহজেই তুলে ফেলা যায়। তাই কৌশল করে পড়তে হবে।
প্রতিদিন নিউজপেপারের আর্টিকেল পড়া বাধ্যতামূলক। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কাটিং করে রাখবেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক টপিকটায় গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে অবগত থাকবেন। এই নিয়ে পত্রিকায় অসংখ্য আর্টিকেল লেখা হয়। এগুলো পড়ে নিতে হবে।
আজকে বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) নিয়ে এপর্যন্তই।