বিসিএস লিখিত প্রস্তুতিতে মোট ৯০০ নম্বর থাকে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিষয়াবলি অংশে থাকে ২০০ নম্বর। বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে সিলেবাস অনেক বড়। কৌশল অবলম্বন করে পড়তে হবে। বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (বাংলাদেশ বিষয়াবলি) নিয়ে তাই লিখতে বসা।
প্রথমেই বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (বাংলাদেশ বিষয়াবলি) এর সিলেবাস দেখে নিন
টপিক | পূর্ণমান |
বাংলাদেশের ভূগোল যেখানে বিভিন্ন অঞ্চল/অঞ্চলের টপোগ্রাফিক বৈশিষ্ট্য এবং সময়ের সাথে তাদের বিকাশের ধারা। জাতিগত এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সহ জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য। | |
প্রাচীন থেকে সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। | |
দেশের উত্থানের পর দারিদ্র্যসহ উন্নয়নের উপর বিশেষ জোর দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি এলিভিয়েশন, ভিশন- ২০২১, জিএনপি, এনএনপি, জিডিপি ইত্যাদি। | |
বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনাগুলি, আলাদা গুরত্বারোপ দেয়া সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষন এবং স্থায়িত্বের উপর। | |
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে টেকসই ভাবে কাজে লাগানোর ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। | |
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান: প্রস্তাবনা, বৈশিষ্ট্য, রাষ্ট্রীয় নীতির নির্দেশমূলক নীতি, সাংবিধানিক সংশোধন। | |
সরকারের অঙ্গ: ক) আইনসভা: প্রতিনিধিত্ব, আইন প্রণয়ন, আর্থিক ও তদারকি কাজ, পদ্ধতির নিয়ম, লিঙ্গ সংক্রান্ত সমস্যা, আইনসভার পরিষদ/পার্লামেন্টারি পার্টি, সংসদ সচিবালয়। খ) নির্বাহী: প্রধান ও বাস্তব নির্বাহী যেমন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, ক্ষমতা ও কার্যাবলী, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রী পরিষদ, ব্যবসার নিয়ম, আমলাতন্ত্র, সচিবালয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসনিক সেটআপ- জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার কাঠামো, বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচি এবং স্থানীয় স্তরের পরিকল্পনা। গ) বিচার বিভাগ: কাঠামো: সুপ্রিম, হাই এবং অন্যান্য অধস্তন আদালত, সংগঠন, ক্ষমতা এবং সুপ্রিম এর কার্যাবলী। আদালত, নিয়োগ, মেয়াদ এবং বিচারকদের অপসারণ, সাব-অর্ডিনেট আদালতের সংগঠন, বিচার বিভাগ থেকে পৃথকীকরণ নির্বাহী, বিচারিক পর্যালোচনা, বিচার, গ্রাম আদালত, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর)। | |
বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি এবং বহিরাগত সম্পর্ক: লক্ষ্য, নির্ধারক এবং নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়া, জাতীয় শক্তির কারণসমূহ, নিরাপত্তা কৌশল, ভূ-রাজনীতি এবং পরিবেশগত সমস্যা, অর্থনৈতিক কূটনীতি, মানবশক্তি শোষণ। আন্তর্জাতিক সংস্থায় অংশগ্রহণ, ইউএনও এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, নাম, সার্ক, ওআইসি, বিমসটেক, ডি-8 ইত্যাদি, এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, বৈদেশিক সাহায্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। | |
রাজনৈতিক দল: ঐতিহাসিক উন্নয়ন, নেতৃত্ব, সামাজিক ভিত্তি, গঠন, মতাদর্শ এবং প্রোগ্রাম, জোটের রাজনীতি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক, নির্বাচনী আচরণ, সরকার পক্ষ এবং বিরোধীদলীয় পক্ষ। | |
বাংলাদেশের নির্বাচন। নির্বাচনী রাজনীতির ব্যবস্থাপনা: নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, নির্বাচনী আইন, প্রচারণা, গণআদেশের প্রতিনিধিত্ব (RPO), নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল। | |
সমসাময়িক যোগাযোগ, আইসিটি, মিডিয়ার ভূমিকা, তথ্য অধিকার (RTI), এবং ই-গভর্নেন্স। | |
অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজের ভূমিকা, স্বার্থান্বেষী দল, এবং বাংলাদেশে এনজিও। | |
বিশ্বায়ন এবং বাংলাদেশ: অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মাত্রা; WTO, World Bank, IMF, ADB, IDB এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদার এবং মাল্টি ন্যাশনাল কর্পোরেশন (এমএনসি)। | |
বাংলাদেশে লিঙ্গ সমস্যা এবং উন্নয়ন। | |
মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পটভূমি: ভাষা আন্দোলন ১৯৫২, ১৯৫৪ নির্বাচন, ছয় দফা আন্দোলন ১৯৬৬, গণউত্থান ১৯৬৮-৬৯, সাধারণ নির্বাচন ১৯৭০, অসহযোগ আন্দোলন, ১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। মুজিবনগর সরকারের গঠন ও কার্যাবলী, জাতিসংঘের প্রধান দেশগুলোর ভূমিকা, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার। | এই অংশ থেকে এককভাবে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। |
মোট নম্বর | ২০০ |
পুরো বিসিএস লিখিত সিলেবাস বাংলায় পড়তে এই আর্টিকেল পড়ুন।
সিলেবাস দেখেই ভয় পেয়ে গেছেন। এটাই স্বাভাবিক। দুনিয়ার সব টপিক দিয়ে দিয়েছে। জানি চিন্তা করতেছেন এগুলো পড়ে মনে রাখবেন কিভাবে।
প্রথম কথা, বই খুব বেশি কিনবেন না। এত বই পড়ে মনে রাখা যায় না।
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভালো করতে চাই কৌশল। কিছু কৌশল বলে দিচ্ছি।
৪৭ তম বিসিএস পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে আমাদের এই প্রোগ্রামে এখনই এনরোল করুন।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (বাংলাদেশ বিষয়াবলি) পরীক্ষায় ভালো করার টিপস
১) প্রথমেই সময়ের হিসাব করেন। লিখিত পরীক্ষা হবে ৪ ঘন্টার। মোট নম্বর ২০০। হিসাব করলে প্রতি ১ নম্বরে সময় পাবেন ১.২ মিনিট। তাহলে ৫ মার্কের একটা প্রশ্ন লিখতে হবে ৬ মিনিটে।
২) এই পরীক্ষায় লিখা প্রচুর। তাই হাতের লেখা ফাস্ট করতে হবে। দ্রুত গতিতে লিখলে অনেকের লেখা খারাপ হয়। আপনারা প্রতিটি লাইনের মাঝে ১ আঙুল ফাঁকা রাখবেন। প্রতিটি শব্দের জন্য ও সেইম নিয়ম।
লিখার মাঝে গ্যাপ থাকলে পরীক্ষকের বুঝতে সমস্যা হবে না।
৩) আপনাকে মানচিত্র ব্যবহার করতে হবে। যারা মানচিত্র ব্যবহার করেননা তাঁরা এভারেজ মার্ক পায়। ধরেন প্রশ্ন আসল, নদী নিয়ে। আপনি চাইলে মানচিত্রে নদীটির অবস্থান দেখাতে পারেন।
চার্ট, সারণি, মানচিত্র যত বেশি আঁকবেন তত বেশি নম্বর পাবেন।
৪) কোন উক্তি থাকলে সেটা নীল কালিতে কোটেশন দিবেন। এতে পরীক্ষকের চোখে ধরা পড়বে।
৫) প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে ৩ পয়েন্ট দিবেন।
- ভূমিকা
- মূল বিষয়
- উপসংহার
কিন্তু সময় নষ্ট করা যাবে না। ৫ নম্বরের জন্য যাতে ২ পেইজ না লিখেন।
৬) বিগত সকল বিসিএস লিখিত প্রশ্নের সমাধান করবেন। প্রফেসরস এর বই আছে। এখান থেকে হুবহু কমন আসবে।
এখন কি কি বই পড়বেন দেখে নিন।
বাজারে হাজার হাজার বই আছে। সব খাইতে যাবেন না। বদহজম হবে। বই কিনবেন খুবই কম। আর পড়বেন খুবই বেশি। একটা বুকলিস্ট দিয়ে দিচ্ছি। এইটা ফলো করতে পারেন। আবার চাইলে নিজেরাও দেখে শুনে কিনতে পারেন।
বিসিএস লিখিত বাংলাদেশ বিষয়াবলি বুকলিস্ট
১। ভূগোল – মাধ্যমিক বোর্ড বই।
২। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় – নবম-দশম শ্রেণি।
৩। সংবিধান – আরিফ খানের বই।
৪। অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও আমার দেখা নয়াচীন বই দুইটি পড়তে হবে।
৫। বাংলাদেশের ম্যাপ ভালো করে স্টাডি করতে হবে।
৬। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ভালো করে পড়তে হবে।
৭। প্রতিটি টপিক উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া এবং সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পড়ে নিবেন।
যেমনঃ মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই পিডিএফটি পড়বেন।
এভাবে অন্য টপিকের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে নোট করে নিবেন।
৮। সবশেষে একটা গাইড বই রাখবেন। এসিউরেন্স এর টা পড়তে পারেন।
৯। বিগত বিসিএস লিখিত সমাধান – প্রফেসরস প্রকাশন।
সিলেবাসটা একটু বড়। তাই পড়তেও হবে বেশি। তবে যে টপিকে প্রশ্ন বেশি আসে, সেগুলো জোর দিয়ে পড়বেন।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (বাংলাদেশ বিষয়াবলি) কোন টপিক থেকে প্রশ্ন বেশি আসে?
সংবিধানঃ এই পার্ট ভালো করে পড়লেই ৩০ মার্ক কমন পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধঃ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতিসংঘের বিষয়গুলো পড়লেই ৫০ মার্ক পেয়ে যাচ্ছেন।
ভুগোল ও অর্থনীতিঃ ৯-১০ এর ভূগোল ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পড়লেই ৫০-৬০ মার্ক কমন পাবেন।
তাহলে শুধু বিগত বছরের প্রশ্ন, সংবিধান, উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশের ভৌগলিক পরিচয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধু এইগুলা ভালোভাবে শেষ করতে পারলে (১৩০ থেকে ১৫০) কমন পাবেন ইনশাআল্লাহ।
তাই বড় সিলেবাস দেখে ভয় পাবার কিছু নাই। টপিক ধরে ধরে পড়ে যান।
আরও পড়ুনঃ বিসিএস লিখিত আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী প্রস্তুতি
আপনাদের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টপিক দিচ্ছি। এগুলো অবশ্যই পড়তে হবে।
- বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি (টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, বিভিন্ন সোপান এবং সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি), জলবায়ু ও আয়তন বিষয়গুলোর স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে।
- ভূ-কৌশলগত অবস্থান (দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান যেমন—বঙ্গোপসাগর, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর এবং ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর বিভিন্ন করিডর ও ট্রানজিট সম্পর্কে ধারণা রাখবেন।
- জিডিপি, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট, পার ক্যাপিটা ইনকাম, রেমিট্যান্স ও জিএনপি নিয়ে গত পাঁচ বছরের একটি তালিকা তৈরি করে মুখস্থ করবেন। এর ফলে উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে সুযোগ বুঝে দরকারি তথ্যজুড়ে দিতে পারবেন।
- সমাজব্যবস্থা, রাজনৈতিক দল, এ ছাড়া সরকারের নীতিনির্ধারণ, ভিশন-মিশন (রূপকল্প-২০২১, ভিশন-২০৪১ প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ), ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সম্পর্কে বিশদ জানার চেষ্টা করবেন।
- তৈরি পোশাক নিয়ে বিস্তর জানবেন, যেমন—অর্থনীতিতে অবদানসহ এই শিল্পের ভবিষ্যৎ ও করণীয়।
- বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার উক্তিসহ আমাদের গর্বের বিষয়গুলো নোট করে ব্যবহার করতে পারেন।
- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ-২৫ (রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, চীন ও মিয়ানমারের সম্পর্ক; মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক) বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা রাখা জরুরি।
- ইতিহাস (১৯০৫-১৯৪৭), বঙ্গভঙ্গ ও স্বাধীনতা (১৯৪৭-১৯৭১) সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও সাল জানা থাকতে হবে। ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখার জন্য ১৯৫২ সালের পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে বাংলা ও অন্যান্য ভাষাভাষী লোকজনের একটা পরিসংখ্যান প্রস্তুত করে মুখস্থ করবেন। এর সঙ্গে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিভিন্ন দল ও তাদের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা নিয়েও চার্ট তৈরি করতে পারেন। এ ছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণা ও ৭ই মার্চের ভাষণ পড়লে মুক্তিযুদ্ধসংশ্লিষ্ট প্রায় প্রশ্নের উত্তরে সেগুলো উক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, মতাদর্শ ও অবদান ভালোভাবে পড়বেন। এ ক্ষেত্রে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বই দুটি অবশ্যপাঠ্য।
- বাংলাদেশের সংবিধান যেমন—প্রজাতন্ত্র অনুচ্ছেদ (১-৭), রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকার; এ ছাড়া নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের অনুচ্ছেদ-১১৮, ১১৯, ১২১, ১২২, ১২৫, ১২৬ পড়বেন। এর সঙ্গে সংবিধান সংশোধন (১৪২) ও একাদশ ভাগের অনুচ্ছেদ ১৪৫, ১৪৫ (ক), ১৪৭, ১৪৮, ১৫০ ভালোভাবে পড়বেন।
- সংবিধানকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করবেন, যেমন—পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য প্রসঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ (ক) ব্যবহার করবেন। নারীর অধিকার বা ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ২৮ (২), উপজাতি ও নৃগোষ্ঠী সম্পর্কিত প্রশ্নে ২৩ (ক) ব্যবহার করবেন।
- সংবিধানের তফসিল ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম অবশ্যই পড়বেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের সংশোধনীগুলো জেনে যাবেন।
এই টপিকগুলো অবশ্যই পড়তে হবে। যদি এমন হয় সময় আপনার কাছে কম। তাহলে এগুলোই পড়ে যান। এগুলো থেকেই কমন পেয়ে যাবেন। ভাল একটা মার্কস চলে আসবে।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (বাংলাদেশ বিষয়াবলি) নিয়ে আজকে এতটুকুই। সবার জন্য শুভকামনা রইল।