বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বিজ্ঞান ও কম্পিউটার থেকে ১০০ নম্বর আসে। বিজ্ঞান গণিতের মতই। অর্থাৎ সঠিক উত্তর দিলে পুরো নম্বরই পাবেন। বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি কিভাবে এই বিষয়গুলোতে নিবেন, তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
প্রথমেই সিলেবাস দেখে নিন।
সংক্ষিপ্তভাবে বললে,
সাধারণ বিজ্ঞান- ৬০ নম্বর।
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি- ২৫ নম্বর।
ইলেকট্রিকাল এবং ইলেকট্রনিক টেকনোলজি- ১৫ নম্বর।
বিস্তারিত সিলেবাস ও দিয়ে দিচ্ছি।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতিঃ সাধারণ বিজ্ঞান সিলেবাস
টপিক | অন্তর্ভুক্ত বিষয় |
আলো | আলো: প্রকৃতি, বর্ণালী, বিভিন্ন রং এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য, UV, IR, এবং লেজার, আলোর প্রতিফলন, আলোর প্রতিসরণ, আলোর মোট অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন, লেন্স, পাতলা কনভার্জিং লেন্স, আলোর বিচ্ছুরণ, আলোর কণা প্রকৃতি, আইনস্টাইনের আলোকবিদ্যুৎ সমীকরণ, ফোটোসেল। |
শব্দ | শ্রবণ প্রক্রিয়া, ডেসিবেল, ফ্রিকোয়েন্সি, বাড়িতে এবং আশেপাশে সাউন্ড মেশিন -, মাইক্রোফোন, লাউড স্পিকার, পাবলিক ঠিকানা ব্যবস্থা, একটি শব্দ নোটের বৈশিষ্ট্য, প্রসারিত স্ট্রিংয়ে স্থির তরঙ্গ গঠন, স্পন্দিত স্ট্রিংগুলির আইন, বিটস, ডপলার ইফেক্ট, অ্যাপ্লিকেশন এবং ডপলার ইফেক্টের সীমাবদ্ধতা, প্রতিধ্বনি, শব্দ তরঙ্গ শোষণ, প্রতিধ্বনি, বিল্ডিং অ্যাকোস্টিকসের মৌলিক বিষয়, সাবিনের সূত্রের বিবৃতি। |
চুম্বকত্ব | প্রান্তিকতা এবং বর্তমানের সাথে সম্পর্ক, বার চুম্বক, বলের চৌম্বকীয় রেখা, একটি বার চুম্বকের উপর টর্ক চৌম্বক ক্ষেত্র, বার চুম্বক হিসাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, স্পর্শকাতর গ্যালভানোমিটার, কম্পন চুম্বক যন্ত্র, প্যারা, দিয়া এবং ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ উদাহরণ সহ, ইলেক্ট্রোম্যাগনেট এবং স্থায়ী চুম্বক। |
অ্যাসিড, ভিত্তি এবং লবণ | অ্যাসিড-ভিত্তিক ধারণা, অ্যাসিড এবং ঘাঁটির বৈশিষ্ট্য, অ্যাসিড-বেস সূচক, এসিড এবং ঘাঁটির ব্যবহার। দৈনন্দিন জীবন এবং সেগুলি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সতর্কতা, অ্যাসিডের অপব্যবহারের সামাজিক প্রভাব, পেটে অ্যাসিডিটির কারণ এবং নির্বাচন। সঠিক খাদ্য, pH, পদার্থের পিএইচ পরিমাপ এবং গুরুত্ব, লবণ, লবণের বৈশিষ্ট্য, দৈনন্দিন জীবনে লবণের প্রয়োজনীয়তা, কৃষি এবং শিল্পে লবণের ব্যবহার। |
পানি | পানির বৈশিষ্ট্য, পানির গলনা এবং ফুটন্ত পয়েন্ট, তড়িৎ পরিবাহিতা, পানির গঠন,হাইড্রোজেন বন্ধন। পানির উৎস, বাংলাদেশে মিঠা পানির উৎস, পানির মানের পরিমিতি(রঙ এবং স্বাদ, ঘোলাটেতা, তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি, বর্জ্যের উপস্থিতি। দ্রবীভূত অক্সিজেন, তাপমাত্রা, pH এবং লবণাক্ততা), পানির পুনর্ব্যবহার, প্রকৃতি সংরক্ষণে পানির ভূমিকা, মানসম্মত পানির প্রয়োজনীয়তা, পানি পরিশোধন (পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, ফুটন্ত এবং পাতন), বাংলাদেশের পানির উৎস দূষণের কারণ, উদ্ভিদ, প্রাণী এবং মানুষের উপর পানি দূষণের প্রভাব। বিশুদ্ধ উষ্ণায়নের প্রভাব মিঠা পানিতে, পানি দূষণ রোধের কৌশল এবং নাগরিকদের দায়িত্ব বা গণ সচেতনতা, শিল্প দ্বারা পানি দূষণ প্রতিরোধ, থেকে মাটি ক্ষয়ের কারণে পানি দূষণ প্রতিরোধ কৃষি জমি, পানির উৎস সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন। |
আমাদের সম্পদ | মাটি, মাটির প্রকার, মাটির পিএইচ, মাটি দূষণের কারণ এবং প্রভাব, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম এবং কয়লার উৎস, বনায়ন, আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা এবং সংরক্ষণ। |
পলিমার | প্রাকৃতিক এবং সিন্থেটিক পলিমার, পলিমারাইজেশন প্রক্রিয়া, উত্স, বৈশিষ্ট্য এবং প্রাকৃতিক এবং সিন্থেটিক ব্যবহার। পলিমার, উত্পাদন প্রক্রিয়া, ফাইবার, সিল্ক, উল, নাইলন এবং রেয়ন এর বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার, শারীরিক এবং রাসায়নিক রাবার এবং প্লাস্টিকের বৈশিষ্ট্য, পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার জন্য রাবার এবং প্লাস্টিকের ভূমিকা, রাবার এবং প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন। |
বায়ুমণ্ডল | বায়োস্ফিয়ার এবং হাইড্রোস্ফিয়ার, আয়নোস্ফিয়ার, অক্সিজেনের ভূমিকা, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন। পানীয় এবং দূষিত জল, পাস্তুরাইজেশন। |
খাদ্য এবং পুষ্টি | খাদ্য উপাদান, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি এবং লিপিড, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটের ধরন এবং উৎস, প্রোটিন, পুষ্টি মূল্য, সুষম খাদ্যের মেনু, সুষম খাদ্যের পিরামিড, বডি মাস ইনডেক্স (BMI), ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক খাদ্য, খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন প্রক্রিয়া, খাদ্য সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক ব্যবহার এবং এর প্রভাব। |
জৈবপ্রযুক্তি | ক্রোমোজোম, ক্রোমোজোমের আকৃতি, গঠন এবং রাসায়নিক গঠন, নিউক্লিক এসিড, deoxyribonucleic এসিড (ডিএনএ), রাইবোনুক্লিক অ্যাসিড (আরএনএ), প্রোটিন, জিন, ডিএনএ পরীক্ষা, ফরেনসিক পরীক্ষা, মানুষের মধ্যে জিনগত ব্যাধি, জৈবপ্রযুক্তি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারি। ক্লোনিং, ক্লোনিং এর সামাজিক প্রভাব, ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ এবং প্রাণী, জৈবপ্রযুক্তির ব্যবহার। কৃষি, দুধ পণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্স, জিন থেরাপি, জিনগত পরিবর্তন সম্বলিত জীব, ন্যানো প্রযুক্তি, ফার্মাকোলজি, ফার্মাকোকিনেটিক্স। |
রোগ এবং স্বাস্থ্যসেবা | ঘাটতি, সংক্রমণ, এন্টিসেপটিক, অ্যান্টিবায়োটিক, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, রক্তচাপ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, ডেঙ্গু, ডায়রিয়া, মাদকাসক্তি, টিকা, ছানি, খাদ্য বিষক্রিয়া। এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইসিজি, এন্ডোস্কোপি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, অ্যাঞ্জিওগ্রাফি, উপরের কৌশলগুলির ব্যবহার, ঝুঁকি এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ক্যান্সারের প্রাথমিক ধারণা, এইডস এবং হেপাটাইটিসের ধারণা। |
মোট নম্বরঃ ৬০ |
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতিঃ কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি সিলেবাস
টপিক | অন্তর্ভুক্ত বিষয় |
কম্পিউটার প্রযুক্তি | আধুনিক ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সংগঠন এবং এর প্রধান কার্যকরী ইউনিট, কম্পিউটার প্রজন্ম, কম্পিউটারের ইতিহাস, সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এবং মাইক্রোপ্রসেসর, কম্পিউটার স্মৃতি এবং তাদের শ্রেণীবিভাগ এবং বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার সহ বৈশিষ্ট্য, ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস।BIOS এর ভূমিকা। বাস আর্কিটেকচার, মাদারবোর্ড এবং এর উপাদান, কাজ এবং মাইক্রোপ্রসেসরের সংগঠন, গাণিতিক লজিক ইউনিট (ALU), নিয়ন্ত্রণ ইউনিট। ভাষা অনুবাদক, পাঠ্য সম্পাদক, কম্পাইলার, দোভাষী, কম্পিউটার সফটওয়্যার, সিস্টেম সফটওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনের উদাহরণ সহ, কম্পিউটার ভাইরাস, অফিস অটোমেশন।গণনীয় জীববিজ্ঞান, ড্রাগ ডিজাইনে কম্পিউটারের ভূমিকা, প্রোগ্রামিং ভাষা, তাদের ধরন এবং মাত্রা, সফটওয়্যার বিকাশের পদক্ষেপ। সমাজে কম্পিউটারের প্রভাব। |
তথ্য-প্রযুক্তি | তথ্য যোগাযোগ এবং তথ্য, তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, এবং বিতরণ, সিস্টেম বিশ্লেষণ এবং তথ্য ব্যবস্থা, বিশেষজ্ঞ সিস্টেম। ডাটাবেস সফটওয়্যার এবং স্ট্রাকচার, ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS)।হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যারের উদাহরণ সহ মাল্টিমিডিয়া সিস্টেমের মূল বিষয়, ডেটা কম্প্রেশন ধারণা, মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম উন্নয়ন জীবন চক্র। স্থানীয় এলাকা, মহানগর এলাকা এবং ওয়াইড এরিয়া কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, (LAN, MAN, WAN), LAN টপোলজি, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস (রাউটার, সুইচ, হাব), টিসিপি/আইপি প্রোটোকল স্যুট, ইন্টারনেট, ইন্টারনেট পরিষেবা এবং প্রোটোকল, ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী (ISPs) এবং তাদের দায়িত্ব, ইন্ট্রানেট এবং এক্সট্রানেট, ওয়ার্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) এবং ওয়েব প্রযুক্তি. জনপ্রিয় ওয়েবসাইট, অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা।ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ) এবং তাদের প্রভাব উদাহরণ সহ বিভিন্ন ধরনের ট্রান্সমিশন মিডিয়া, ব্যান্ডউইথ। টেলিযোগাযোগের প্রধান উপাদান সিস্টেম, মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং ভিএসএটি, ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশন সিস্টেমের গুরুত্ব, ওয়াইফাই, ই-কমার্স প্রযুক্তি এবং সমাজে এর প্রভাব, ই-কমার্স ওয়েবসাইটের উদাহরণ, বিজনেস টু বিজনেস, বিজনেস টু কমার্স, এম-কমার্স, স্মার্টফোন, জিপিএস। |
মোট নম্বরঃ ২৫ |
ব্যাংক জব পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে প্রোগ্রামটি এনরোল করুন।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতিঃ ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক টেকনোলজি সিলেবাস
টপিক | অন্তর্ভুক্ত বিষয় |
ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজি | বৈদ্যুতিক উপাদান, ভোল্টেজ, কারেন্ট, ওহমের আইন, বৈদ্যুতিক শক্তি এবং শক্তি, ইলেক্ট্রোম্যাগনেট এবং চৌম্বক ক্ষেত্র, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন, সার্কিট ব্রেকার, জিএফসিআই এবং ফিউজ, পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন এবং সিরিজ সার্কিট, একটি সিরিজের ভোল্টেজ সোর্স, কিরচফের ভোল্টেজ আইন, একটি সিরিজ সার্কিটে ভোল্টেজ ডিভিশন, সিরিজের উপাদান বিনিময়, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ এবং ভোল্টেজ উৎসের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ। সমান্তরাল প্রতিরোধক, সমান্তরাল সার্কিট, বিদ্যুৎ বিতরণ একটি সমান্তরাল সার্কিট, কিরচফের বর্তমান আইন, খোলা এবং শর্ট সার্কিট, এসি এবং ডিসি ভোল্টেজের উত্পাদন, তাপ, জলবাহী এবং পারমাণবিক শক্তি উৎপাদক। বৈদ্যুতিক মোটর এবং তাদের অ্যাপ্লিকেশন। ট্রান্সফরমার, এসি ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন, বৈদ্যুতিক যন্ত্র, ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার, আইপিএস এবং ইউপিএস। |
ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি | ইলেকট্রনিক উপাদান, এনালগ এবং ডিজিটাল সিগন্যাল, এনালগ ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পরিবর্ধক এবং oscillators, প্রতিরোধ, প্রতিরোধক ধরনের, conductance, ohmmeters, ক্যাপাসিট্যান্স, ক্যাপাসিটারস, Inductors, Inductance, Sinusoidal অল্টারনেটিং, ওয়েভফর্মস, ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম, সাইনোসয়েডাল ওয়েভফর্ম, সাইনোসয়েডাল ভোল্টেজের সাধারণ বিন্যাস বর্তমান। ফেজ রিলেশনস, দ্য বেসিক এলিমেন্টস অ্যান্ড ফ্যাসারস, বেসিক আর, এল এবং সি এর প্রতিক্রিয়া, একটি সাইনোসয়েডাল ভোল্টেজের উপাদান বা বর্তমান, মৌলিক উপাদানগুলির ফ্রিকোয়েন্সি প্রতিক্রিয়া, গড় শক্তি এবং পাওয়ার ফ্যাক্টর, জটিল সংখ্যা, আয়তক্ষেত্রাকার ফর্ম, পোলার ফর্ম, ফর্মের মধ্যে রূপান্তর, প্রতিবন্ধকতা এবং ফ্যাসার ডায়াগ্রাম, 3 ফেজ সিস্টেমের ভূমিকা, জেনারেশন, ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের প্রাথমিক ধারণা, ক্ষমতার বিভিন্ন স্তর, এর প্রাথমিক ধারণা ট্রান্সফরমার, রেডিও, টেলিভিশন এবং রাডার। ডিজিটাল ডিভাইস এবং ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের প্রভাব, কাউন্টার এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে ডিভাইস, ডিজিটাল যন্ত্র। |
মোট নম্বরঃ ১৫ |
এই হলো বিস্তারিত সিলেবাস। এখান থেকে কোন বিষয়ে কি টপিক পড়বেন তা দেখে নিবেন।
এখন আসি বুকলিস্ট নিয়ে।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতিঃ সাধারণ বিজ্ঞান বুকলিস্ট
১) ওরাকল বিজ্ঞান গাইড।
এই বইয়ের কোন তুলনা নাই। মার্কেটে এর চেয়ে ভালো বই পাবেন না। বিজ্ঞানের সকল বিষয় ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা আছে। এককভাবে শুধু এই বইটি পড়লেই চলবে।
২) ৮ম, ৯-১০ম ও উচ্চ মাধ্যমিকের বই পড়তে হবে। সিলেবাসের সব টপিক এই শ্রেণিগুলো থেকে নেয়া। তাই প্রতিটি টপিক এই বই গুলো থেকে পড়ে নিবেন।
৩) বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধানের গাইড। যেকোন একটা নিতে পারেন।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতিঃ কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বুকলিস্ট
১) ইজি প্রকাশনীর গাইড।
এই বইটি অন্যান্য বই থেকে ভালো। অথবা আপনি প্রফেসরস এর বই কিনতে পারেন। যেকোন ১টা নিবেন।
২) উচ্চ মাধ্যমিক এর বোর্ড বই।
দুই জন লেখকের বই কিনবেন। মাহবুবুর রহমান স্যার এবং মুজিবুর রহমান স্যার। এই ২ জনের বই পড়লেই চলবে। সিলেবাস থেকে প্রতিটি টপিক নোট করবেন। তারপর টপিকের সাথে মিল রেখে বই দাগাবেন। পড়া শুরু করবেন।
আরও পড়ুনঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি সাধারণ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার প্রস্তুতি
কিভাবে বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবেন? (BCS Written Preparation)
বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার পরে বড়জোর ২ মাস সময় পাবেন। ২ মাসের মধ্যেই আপনাকে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। কিছু কৌশলে পড়লে সময় কম লাগবে।
১) প্রথমেই বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। একটা ধারণা জন্ম নিবে।
কোন ধরনের প্রশ্ন আসে?
কোন টপিক থেকে আসে?
এগুলা বুঝে যাবেন।
২) আর্টস এবং কমার্সের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান নিয়ে ভয় থাকে। ভয়ের কিছু নাই। প্রশ্ন আসবে সাধারণ টপিকে। পদার্থের অংক, রসায়নের বিক্রিয়া এগুলো নিয়ে খুব পড়া লাগে না। টপিকের সাথে মিল রেখে ২-১টা বিক্রিয়া দেখে নিবেন।
৩) বিজ্ঞানে চিত্র, বিক্রিয়া(সামঞ্জস্য হলে), সারণি ইত্যাদি দিতে হবে। এগুলো দিলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন আসবে বিজ্ঞানে। ১ বা ২ নম্বরের প্রশ্ন পাবেন অনেক। এগুলোতে খুব বেশি লিখা লাগবে না। শুধুমাত্র যা চেয়েছে সেটাই লিখবেন।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (বিজ্ঞান) নিয়ে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন।
৪) কম্পিউটার অংশে মনে রাখার কিছু তথ্য আছে।
যেমনঃ BIOS কি?
DBMS কি?
এভাবে বেশ কিছু টার্ম আছে। এগুলোর পূর্ণরূপ এবং সঙ্গা জানতে হবে।
কম্পিউটারে পেন্সিল দিয়ে ছক আকারে তথ্য দিবেন। ধরেন শ্রেণিবিভাগ আসল। ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইসের। আপনি সুন্দর করে ছক আকারে দিলে নম্বর বেশি পাবেন।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি) নিয়ে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন।
৫) পরীক্ষক প্যারাগ্রাফ পড়ার চেয়ে ছক পড়তে ভালোবাসেন। তার পরীক্ষকের চোখে আরাম পাওয়ার বিষয়টি ভাববেন। আপনার উপস্থাপন যত ভালো, নম্বর তত বেশি।
৬) ইলেকট্রনিক্স অংশের জন্য একটু টাইম দিতে হবে। এখানে বেশ কিছু নতুন বিষয় আছে। যেগুলো আপনার আগে থেকে জানা নাই। তাই পড়তে হবে বেশি।
প্রতিটা টপিক উইকিপিডিয়ায় সার্চ করবেন। উইকিতে সব বিষয় পেয়ে যাবেন।
তারপর গুগলে সার্চ দিয়ে, ইমেজ বাটনে ক্লিক করবেন। ইমেজে দিলে ওই বিষয় নিয়ে ছবি দেখাবে। ছবি দেখবেন, এতে মনে থাকবে ওই বিষয়ে।
আর পরীক্ষার হলে ছবি আঁকা ও হয়ে যাবে।
সবশেষে বিজ্ঞান ও কম্পিউটারে মার্ক পেতে হলে লাগবে-
১) নির্ভুল তথ্য,
২) আর সুন্দর উপস্থাপন।
তাহলেই নম্বর পাবেন বেশি। এই অংশে টার্গেট মার্কস ৬৫-৭০ ধরবেন।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি (সাধারণ বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি) নিয়ে আজকে এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ।