বাংলাদেশ বিষয়াবলীর গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস। যেকোনো চাকরি পরীক্ষায় প্রিলি এবং লিখিত উভয়ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসের এই অংশ হতে প্রশ্ন এসে থাকে। আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশ ইতিহাস (১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ পাকিস্তান আমল) এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
দেশবিভাগ (১৯৪৭)
১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগস্ট ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারত নামে স্বাধীন ও সার্বভে․ম রাষ্ট্র গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৭ই আগস্ট র্যাডক্লিফ সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ করেন। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তরেখার নাম ‘র্যাডক্লিফ লাইন’ সে কারণেই তার নামানুসারে হয়।
ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি নঈমুদ্দিন আহমদকে, মুসলিম ছাত্রলীগের আহ্বায়ক করে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের জন্ম হয়।
আওয়ামী মুসলিম লীগ
প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। ১৯৫৫ সালের ২১-২৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলা আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ করা হয় এবং অন্যান্য ধর্মালম্বীদের সদস্য হওয়ার দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের-
কমিটি সভাপতি– মাওলানা আবদুল হামিদ খান (ভাসানী)
সহ-সভাপতি– আলী আমজাদ খান
যুগ্ম সম্পাদক— শেখ মুজিবুর রহমান , ইয়ার মোহাম্মদ খান
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন— ১৯৫২ সালে, সাধারণ সম্পাদক হন— ১৯৫৩ সালের ৯ ই জুলাই এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি হন— ১ লা মার্চ,১৯৬৬ সালে।
পূর্ববঙ্গ জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন
১৯৫০ সালের ডিসেম্বরে পূর্ববঙ্গ জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন (East Bengal State Acquisition & Tenancy Act ) এ পরিণত হয়। এর ফলে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়।
ভাষা আন্দোলন
সম্রাট আকবরের যে রাজস্বমন্ত্রী এ দেশের সরকারি কাজে ফারসি ভাষা চালু করেন তার নাম— টোডরমল। সরকারি ভাষা হিসেবে এদেশে ইংরেজির ব্যবহার শুরু হয়— ১৮৩৫ সালে। আর সে কারণেই পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্বেই পাকিস্তানে ভাষা কী হবে উর্দু না বাংলা এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
১৯০১ সালে রংপুরে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে নওয়াব আলী চৌধুরী প্রথম বাংলা ভাষার দাবি উত্থাপন করেন।
১৯০৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ গঠিত হলে এর প্রথম অধিবেশনেই ভাষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে দলের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে এ. কে ফজলুল হকসহ অন্যান্য নেতাদের বিরোধীতায়তা সফল হয়নি।
১৯৪৬ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব দেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলীম লীগের সম্পাদক আবু হাসিম।
১৯৪৭ সালের ১৭মে মুসলিম লীগের প্রভাবশালী নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান এবং একই বছরের জুলাই মাসে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে বক্তব্য দেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহসহ বেশ কিছু বাঙালি লেখক বুদ্ধিজীবী এর তীব্র প্রতিবাদ করেন।
২৪ জুলাই, ১৯৪৭ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘‣দনিক আজাদ’ পত্রিকায় ‘পাকিস্তানের ভাষা সমস্যা’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন। এখানে তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এক ভাষণে বলেছিলেন,
‘আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালি’।
সেজন্য বলা হয় যে, বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে/এক নতুন জাতীয় চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন হয়।
তমদ্দুন মজলিস
তমদ্দুন মজলিস গঠিত হয়—১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর। এটি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। আহ্বায়ক— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবুল কাশেম।অন্য দুইজন সদস্য—সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক শামছুল আলম।এই সংগঠনটি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা দাবী করে।
আরও পড়ুনঃ বিসিএস বাংলা সাহিত্য প্রস্তুতি
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ
১৯৪৭ সালে ডিসেম্বর মাসে তমদ্দুন মজলিশের উদ্যোগে রসায়নের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু?” প্রকাশ করে। লেখক—
১. আবুল কাশেম (প্রতিষ্ঠাতা),
২. ড. কাজী মোতাহার হোসেন,
৩. আবুল মনসুর আহমদ।
দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও ভাষা দিবস
- রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ (২য় বারের মতো গঠিত) গঠিত হয়— ২ মার্চ, ১৯৪৮। আহবায়ক— শামসুল আলম।
- কর্মসূচি : ১১ মার্চ- বিক্ষোভ কর্মসূচি, ধর্মঘট, স্মারক লিপি পেশ। বিক্ষোভে বঙ্গবন্ধুসহ বহু ছাত্র গ্রেপ্তার হয় এবং এরই প্রেক্ষিতে ১১ ই মার্চ ‘বাংলা ভাষা দাবি দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
- ১৯৪৮-৫২ সাল পর্যন্ত ১১ই মার্চকে ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হত।
জিন্নাহ’র ঘোষণা ও ছাত্রদের প্রতিবাদ
১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন— ‘‘Urdu & only urdu shall be the state language of Pakistan”. এছাড়াও ২৪ শে মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একই কথার পুনরাবৃত্তি করলে ছাত্ররা ‘না না’ বলে প্রতিবাদ জানায়। ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন খাজা নাজিমুদ্দীন।
পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি
১৯৪৯ সালের ৯ই মার্চ পূর্ব বাংলা সরকার বাংলা ভাষা সংস্কারের নামে ১৬ সদস্যের একটি ‘পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি’ গঠন করা হয়। সভাপতি— মাওলানা আকরাম খাঁ। ১৯৫১ সালে লিয়াকত আলী খান মৃত্যুবরণ করলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন— খাজা নাজিমুদ্দীন।
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ
১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় এক জনসভায় ঘোষণা করেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে গঠিত হয় “সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ বা কমিটি” (All Parties State Language Movement Committee) ৩১ শে জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কমিটি ছিল ২২ সদস্যের—আহ্বায়ক — কাজী গোলাম মাহবুব সদস্য— শামসুল হক ,আবদুল মতিন , মাওলানা ভাসানী , আবুল কাশেম। ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ পতাকা দিবস পালিত হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও বন্দীর মুক্তির’ দাবিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমেদ ফরিদপুর জেলে আমরণ অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ আন্দোলনের তীব্রতায় ভয় পেয়ে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিন ঢাকা শহরে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।
৪৭ তম বিসিএস প্রস্তুতি নিতে এখনই এনরোল করুন।
একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ
২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ ছিল— ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার।
সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের সভাপতিত্বে সভার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। আব্দুস সামাদের মধ্যস্থতায় ১০ জনের একটি করে দল বেরিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। প্রথম দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের মেধাবী ছাত্র হাবিবুর রহমান। পুলিশের সাথে ছাত্র-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হয় ক) রফিক উদ্দিন আহমদ, খ) আবদুল জব্বার, গ) আবুল বরকত এবং ঘ) আব্দুস সালাম সহ আরও অনেকে।
২১ এর ১ম শহীদ রফিকের মাথার খুলি উড়ে যাওয়ার বীভৎস ছবি তোলেন ফটোগ্রাফার আমানুল হক।
২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ
পুলিশি হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে শোভাযাত্রা চলাকালে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন শফিউর রহমান (হাইকোর্টের কর্মচারী)। ২২ ফেব্রুয়ারি আরও শহীদ হন— অহিদুল্লাহ (ঢাকার লুৎফর রহমান লেনের বাসিন্দা) এবং আবদুল আউয়াল (রিক্সাচালক)।
৫২‘র ভাষা শহীদের সবার কবর আজিমপুর কবরস্থানে।
শহীদ মিনার
একুশের রাতেই প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়— রাজশাহী কলেজ চত্বরে।
ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার : ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের সামনে যে স্থানে পুলিশ গুলি বর্ষণ করেছিল সেই স্থানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিল। শহীদ মিনারটি ছিল ১০ ফুট উঁচু আর ৬ ফুট চওড়া। শহীদ মিনারটির ডিজাইনার ছিল ডা. বদরুল আলম।
শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন— শহীদ শফিউরের পিতা মে․লভী মাহবুবুর রহমান (২৪ ফেব্রুয়ারি)।
পুলিশ শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলার পর দ্বিতীয়বার এটি উদ্বোধন করেন— আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরে ১৯৫৭ সালে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে ১৯৬৩ সালে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং ১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ বরকতের মা উক্ত মিনারটি উদ্বোধন করেন।
বর্তমান শহীদ মিনারের ডিজাইনার— হামিদুর রহমান।
পহেলা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউজের ২য় তলায় ভাষা আন্দোলনের জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
রাষ্ট্রভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি
- ৯মে, ১৯৫৪ বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান গণপরিষদ।
- ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতীয় পরিষদ।
- ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সংবিধানের ২১৪(১) নং অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির অনুচ্ছেদে বলা হয়- ‘The State Language of Pakistan shall be Urdu and Bengali’.
- ১২ মার্চ, ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ জারি করেন। ১৯৮৭ সালে জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষা আইন পাস হয়।
১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ১৮৮ দেশের সমর্থনে ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ অধিবেশনে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে ২০০০ সাল থেকে। জাতিসংঘ ২০০৮ সাল থেকে মাতৃভাষা দিবস পালন করা আরম্ভ করে।
১৯৫৪ সালের নির্বাচন
যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়— ৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়— ১৯৫৪ সালে। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণা (নির্বাচনের ইশতিহার) ২১ দফার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ২১ দফা প্রকাশিত হয়— ৫ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে। প্রথম দফা ছিল— বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল— নে․কা। ১৯৫৪ সালের ৮ই মার্চের নির্বাচন ছিল পূর্ব বাংলায় প্রথম অবাধ ও সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোট দেয়— শতকরা ৩৭.১৯ ভাগ ভোটার। সরকারিভাবে নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়— ২রা এপ্রিল। নির্বাচনে মোট আসন ছিল— ৩০৯ টি (মুসলিম আসন— ২৩৭টি এবং অমুসলিম আসন— ৭২টি)
যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভা গঠন
- ১৯৫৪ সালের ৩ এপ্রিল শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক প্রথমে চার সদস্য বিশিষ্ট পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা গঠন করেন। মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্টের অন্যান্য শরীক দলের সাথে শেরে বাংলার মতানৈক্য সৃষ্টি হয়।
- অবশেষে যুক্তফ্রন্টের মূল দল আওয়ামী লীগের ৭ জন এবং কৃষক শ্রমিক পার্টির আরও ৩ জন সদস্য নিয়ে ১৫ মে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার কৃষি, বন, সমবায় ও পল্লীমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
- যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়— ৩ এপ্রিল ১৯৫৪ সালে। মন্ত্রিসভার সদস্য ছিল— ৪ জন।
- মুখ্যমন্ত্রী—শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক। এছাড়াও তিনি ছিলেন— অর্থ, রাজস্ব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিসভার পতন হয়— ৩০ মে, ১৯৫৪ সালে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভা মাত্র ৫৬ দিন স্থায়ী ছিল।
- শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা, ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ দিবস’ ও সরকারি ছুটি ঘোষণা এবং বর্ধমান হাউজকে ‘বাংলা একাডেমি’ করার প্রস্তাব গ্রহণ ও অনুমোদন করে।
১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র
পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান কার্যকর হয়— ২৩ মার্চ, ১৯৫৬ সালে।
পাকিস্তান হয়— ‘পাকিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্র’। পূর্ব বাংলার নাম হয়— পূর্ব পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রথম নিযুক্ত প্রেসিডেন্ট হন— ইস্কান্দর মীর্জা। গভর্নরের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থার প্রবর্তন।
এই সংবিধানের ২১৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ জাতীয় পরিষদ বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
এই সংবিধান চালু ছিল— মাত্র ২ বছর ৮ মাস। ইস্কান্দার মীর্জা এই সংবিধান বাতিল করে— ৭ অক্টোবর, ১৯৫৮ সালে।
আরও পড়ুনঃ বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ কবিগণ
কাগমারী সম্মেলন (১৯৫৭)
৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭ আওয়ামী লীগের তত্বাবধানে টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষের কাগমারীতে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় তাকে ‘কাগমারী সম্মেলন’ বলে। ১৯৫৭ সালের ২৫ জুলাই, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ন্যাপ গঠন করেন।
সামরিক শাসন জারি (১৯৫৮)
পূর্ববাংলার সংসদে সভ্যদের সংঘর্ষে ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী গুরুতর আহত হন। এরই অজুহাতে ইস্কান্দার মীর্জা ৭ ই অক্টোবর, ১৯৫৮সালে সামরিক আইন জারি করেন। প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মীর্জা, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান আইয়ুব খানকে ‘প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক’ হিসেবে নিযুক্ত করেন। ২৭ শে অক্টোবর, ১৯৫৮ ইস্কান্দার মীর্জাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে,আইয়ুব খান এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করে নিজেই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ২৩ মার্চ ১৯৬০ সালে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করেন।
মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ
প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান ‘মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ’ জারি করেন— ২৭ অক্টোবর, ১৯৫৯ সালে।
‘মৌলিক গণতান্ত্রিক অধ্যাদেশ’-এ ৪ স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। স্তরগুলো হলো— ক. ইউনিয়ন কাউন্সিল, খ. থানা কাউন্সিল, গ. জেলা কাউন্সিল এবং ঘ. বিভাগীয় কাউন্সিল
মৌলিক গণতন্ত্রীর সংখ্যা ছিল পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানে ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার।
খাদ্য অধিদপ্তর নিয়োগ প্রস্তুতি নিতে এখনই এনরোল করুন।
শরীফ শিক্ষা কমিশন
১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল শিক্ষাকে সার্বজনীন অধিকার করা। কমিশনের প্রধান ড. এস এম শরীফের নামানুসারে এ রিপোর্টের নাম হয় শরীফ কমিশন। রিপোর্টটি দাখিল করা হয়েছিল ২৬ শে আগস্ট, ১৯৫৯ সালে।
পাকিস্তানের ২য় শাসনতন্ত্র (১৯৬২)
১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের আমলে ২য় বার সংবিধান রচনা করা হয়। সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়। রাজধানী করাচি থেকে ইসলামাবাদে স্থানান্তর করা হয়।
২য় পাক ভারত যুদ্ধ (১৯৬৫)
৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫ কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। এ যুদ্ধের স্থায়িত্বকাল ছিল ১৭ দিন। ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কোসিগিনির মধ্যস্থতায় ‘তাসখন্দ চুক্তি’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পাকভারত যুদ্ধের অবসান হয়। ভারতের পক্ষে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ওসমানীকে বীরত্বের জন্য ‘পাপা টাইগার’ বলা হয়।
১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন
১৯৬৬ সালের—
- ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা কর্মসূচি’ পেশ করেন।
- ১১ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।’
- ২১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর নামে ‘আমাদের বাঁচার দাবি ছয় দফা’ কর্মসূচি শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়।
- ১৩ মার্চ আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটিতে ‘ছয় দফা’ অনুমোদিত হয়।
- ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ৬ দফা প্রণয়নকারীদের পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
- ২৩ শে মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
প্রতি বছর ৭ই জুন বাংলাদেশে ‘৬ দফা দিবস’ পালন করা হয়। কারণ ১৯৬৬ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে মনুমিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন।
ঐতিহাসিক ছয় দফাকে ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের দলিল ‘ম্যাগনাকার্টা এর সাথে তুলনা করা হয়। এটিকে বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ বলা হয়। এটি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশের মূল।
ছয় দফাসমূহ
প্রথম— শাসনতান্ত্রিক কাঠামো
দ্বিতীয়— কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
তৃতীয়— স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থা
চতুর্থ— রাজস্ব ও কর সম্পর্কিত
পঞ্চম— বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক
ষষ্ঠ— আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন
আরও পড়ুনঃ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগ
আগরতলা মামলা
বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে পূর্ব-বাংলাকে বিচ্ছিন্ন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামী করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক যে মামলা দায়ের করা হয়। পাকিস্তান সরকার প্রথমে দেশদ্রোহিতার মামলা করে— ৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে।
প্রথম দফায় ২৮ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তখনও শেখ মুজিবুর রহমান এ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে পূর্বের ২৮ জন সহ মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য’ নামে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়— ১৮ ই জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে।
অভিযোগ— পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তান হতে মুক্ত করে ভারতের সাথে সংযুক্তি যোগসাজশ।
মামলার তথ্য ফাঁস করেন— পাকিস্তান ইন্টার ইন্টেলিজেন্সের সদস্য আমির হোসেন।
ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়— ২১ এপ্রিল, ১৯৬৮ সালে। ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন এস. এ. রহমান।
ঢাকার কুর্মিটোলা সেনানিবাসে বিচারকার্য শুরু হয়— ১৯ জুন, ১৯৬৮ সালে।
গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ (Democratic Action Committee- DAC)
১৯৬৯ সালের ৮ ই জানুয়ারি অধিকাংশ রাজ‣নতিক দলের প্রতিনিধি ঢাকায় মিলিত হয়ে ৮ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ (Democratic Action Committee- DAC) গঠন করে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করলে বাংলার বিক্ষুব্ধ জনতাকে সংগঠিত করতে দেশের ৮ টি রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে ১৯৬৯ সালের ৮ জানুয়ারি DAC গঠন করে।
ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ (Student Action Committee- SAC)
১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে আইয়ুব খানের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন ও জাতীয় ফেডারেশনের একাংশ মিলিত হয়ে ৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে SAC গঠিত হয়। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ তৈরি করে— ১১ দফা। এর প্রতি সমর্থন জানান আওয়ামী লীগের নেতারাও। কারণ, ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দের বিচক্ষণতায় ঐ ১১ দফার মধ্যে ৬ দফাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২০ জানুয়ারি,১৯৬৯
গণ-অভ্যুত্থানে পুলিশী নির্যাতনের প্রতিবাদে DAC , SAC গঠন করে ধর্মঘটের আহবান করা হয়। হরতাল পালনকালে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন— ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদ।
তাঁর নামানুসারে ঢাকা গেটের নাম হয় ‘আসাদ গেট’। ২০ জানুয়ারি শহীদ হওয়ার দিনকেই ‘শহীদ আসাদ দিবস’হিসেবে পালন করে আসছে। ‘আসাদ গেট’ এর পূর্ব নাম ছিল— আইয়ুব খান গেট।
২৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯
নবকুমার ইন্সটিটিউট এর ছাত্র মতিউর রহমানকে হত্যা করা হয়। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ২৪ শে জানুয়ারি হরতাল আহ্বান করে। এটি বাংলার ইতিহাসের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সার্জেন্ট জহুরুল হক মারা যান। তার নামানুসারে ঢাবিতে একটি হল নির্মাণ করা হয়। (ঢাবির ইকবাল হলের বর্তমান নাম সার্জেন্ট জহুরুল হক)
১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক ড.শামসুজ্জোহাকে হত্যা করা হয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯– হত্যার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরু হলে আইয়ুব খান মামলা প্রত্যাহার করে সকলকে নিঃশর্ত মুক্তি দান করে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯—রেসকোর্স ময়দানে গণসংবর্ধনায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করেন।
২৫ শে মার্চ, ১৯৬৯ আইয়ুব খান পদত্যাগ করে।
৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া অনুষ্ঠানে পূর্ব পাকিস্তানের নাম রাখেন বাংলাদেশ।
১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ পাকিস্তান আমল নিয়ে আজকে এই পর্যন্তই।
Hello BCS এর সাথে থাকুন। আপনার প্রস্তুতিকে আরও মজবুত করে তুলুন। ধন্যবাদ।