বাংলা সাহিত্য হচ্ছে যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে ২০ টি। ব্যাংকের পরীক্ষাতে বাংলা সাহিত্য থেকে ৫-৬টির মতো প্রশ্ন হয়ে থাকে। তাই বাংলা সাহিত্য বিষয়টি মোটেও হেলা করার বিষয় নয়। বিসিএস ব্যাংক বা যেকোনো চাকরি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য অংশে ভালো করার জন্য প্রয়োজন সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি।
আজকের আর্টিকেলে বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবি সম্পর্কে আলোচনা করবো।
বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবিগণ
বাংলা সাহিত্যের যতজন কবি রয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কবিগণ হচ্ছেনঃ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
জন্মঃ ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে
মৃত্যুঃ ২৯ জুলাই, ১৮৯১
পৈতৃক পদবিঃ বন্দ্যোপাধ্যায়
উপাধিঃ বিদ্যাসাগর
⇒ ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই তাঁর প্রচেষ্টায় বিধবা বিবাহ আইন পাশ
হয়।
⇒বাংলা ভাষার প্রথম কাহিনীধর্মী গ্রন্থ, যেখানে ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিরাম চিহ্নের সফল প্রয়োগ করেন।
সাহিত্যকর্মঃ
গদ্য সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে শৃঙ্খলা, পরিমিতিবোধ ও যতি চিহ্নের মাধ্যমে বাংলা গদ্যের অবয়ব নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ঈশ্বরচন্দ্রকে ‘ বাংলা গদ্যের জনক ’ বলা হয়।
- জনশিক্ষা ও শিশু শিক্ষামূলক রচনা- বোধোদয়, বর্ণপরিচয়, আখ্যান মঞ্জুরী ও কথামালা।
- চেম্বার্স রচিত Rudiments of Knowledge অবলম্বনে ‘ বোধোদয় ‘ (১৮৫১) এবং ঈশপের Fables অবলম্বনে ‘ কথামালা’ (১৮৫৬) রচনা করেন।
- শেক্সপিয়ারের Comedy of Errors অবলম্বনে ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে ‘ ভ্রান্তিবিলাস ‘ রচনা করেন।
- হিন্দি ভাষায় লালুজি রচিত বৈতাল পচ্চিসী ’ অবলম্বনে ‘ বেতাল পঞ্চবিংশতি’ রচনা করেন। এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাহিনীধর্মী গ্রন্থ, যেখানে ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিরাম চিহ্নের সফল প্রয়োগ করেন।
- বিদ্যাসাগরের আত্মজীবনী হচ্ছে ‘ আত্মচরিত’ যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম আত্মজীবনী গ্রন্থ।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৌলিক রচনা এবং বাংলা গদ্য সাহিত্যে প্রথম শোকগাঁথা ‘ প্রভাবতী সম্ভাষণ ’।
- কালিদাস রচিত সংস্কৃত ভাষায় ‘ অভিজ্ঞান শকুন্তলম ‘ অবলম্বনে’ শকুন্তলা ‘ রচনা করেন।
- হাস্য রসাত্মক ও ব্যঙ্গ রচনা-‘ অতি অল্প হইল ‘,’ আবার অতি অল্প হইল ‘ এবং’ ব্রজবিলাস ‘ তিনটি বই’ কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য ‘ ছদ্মনামে লিখেন।
- বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থটির নাম- ‘ ব্যাকরণ কৌমুদী’ (১৮৫৩)।
- ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর রচিত ‘ বর্ণপরিচয় ’ ক্লাসিকের মর্যাদা লাভ করে।
- তিনি ১৫ টি বিরামচিহ্নের প্রবর্তন করেন। বাংলা ভাষায় বিরাম চিহ্নের ব্যবহার শুরু হয় ১৮৫৩ সালে।
- ‘ রত্ন পরীক্ষা ‘ গ্রন্থের রচয়িতা- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বিদ্যাসাগর রচিত আত্মজীবনী। ‘ আত্মচরিত ’ আর ‘ বিদ্যাসাগর চরিত্র’ গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
অনুবাদ গ্রন্থঃ
- ভ্রান্তিবিলাস (১৮৬৯)
- বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭)
- শকুন্তলা (১৮৫৪)
- সীতার বনবাস (১৮৬০)
মৌলিক গ্রন্থঃ
- বর্ণপরিচয়’ (১ম ও ২য় ভাগ, ১৮৫৫),
- জীবন চরিত(১৮৪৯)
- ‘ঋজুপাঠ’ (১ম, ২য় ও ৩য় ভাগ, ১৮৫১-৫২),
- ‘সংস্কৃৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’ (১৮৫১),
- বোধোদয়(১৮৫১)
- ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’ (১৮৫৩)
- শব্দ মঞ্জুরি (১৮৬৪)
- বজ্রবিলাস (১৮৮৫)
- কথামালা(১৮৫৫ সালে ক্লাসিক মর্যাদা পায়)
- রত্নপরীক্ষা (১৮৮৬)ঃ- কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য ছদ্মনামে লিখেছেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
জন্মঃ ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলীর দেবানন্দপুর গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যুঃ ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
পিতাঃ মতিলাল চট্টোপাধ্যায়
মাতাঃ ভুবনমোহিনী দেবী
ছদ্মনামঃ
তিনি অনিলা দেবী ছদ্মনাম সাহিত্য চর্চা করতেন। এছাড়াও শ্রীকান্ত শর্মা, সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, পরশুরাম ছদ্মনামে লিখতেন। রাজশেখর বসু পরশুরাম তার ছদ্মনাম।
সাহিত্যকর্মঃ
উপন্যাসঃ
- বড়দিদি, ১৯১৩
- বিরাজবৌ, ১৯১৪
- বিন্দুর ছেলে, ১৯১৪
- পরিণীতা, ১৯১৪
- পন্ডিতমশাই, ১৯১৪
- মেজ দিদি, ১৯১৬
- পল্লী-সমাজ, ১৯১৬
- চন্দ্রনাথ, ১৯১৬
- বৈকুন্ঠের উইল, ১৯১৬
- অরক্ষণীয়া, ১৯১৬
- শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব, ১৯১৭
- নিষ্কৃতি, ১৯১৭
- দেবদাস, ১৯১৭
- চরিত্রহীন, ১৯১৭
- কাশীনাথ, ১৯১৭
- দত্তা, ১৯১৮
- স্বামী , ১৯১৮
- শ্রীকান্ত-দ্বিতীয় পর্ব, ১৯১৮
- ছবি, ১৯২০
- গৃহদাহ, ১৯২০
- বামুনের মেয়ে, ১৯২০
- দেনা পাওনা, ১৯২৩
- নব-বিধান, ১৯২৪
- পথের দাবী, ১৯২৬
- শ্রীকান্ত-তৃতীয় পর্ব, ১৯২৭
- শেষ প্রশ্ন, ১৯৩১
- শ্রীকান্ত-চতুর্থ পর্ব, ১৯৩৩
- বিপ্রদাস, ১৯৩৫
- শুভদা, ১৯৩৮
- শেষের পরিচয় ,১৯৩৯
বিখ্যাত ছোটগল্পঃ
- মন্দির- প্রথম প্রকাশিত গল্প। গল্পের জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন পুরস্কার লাভ করেন। চরিত্র- অপর্ণা, অমরনাথ, শক্তিনাথ
- রামের সুমতি (১৯১৪): চরিত্র- রাম নারায়ণী।
- পথ-নির্দেশ (১৯১৪)
- আঁধারে আলো (১৯১৫)
- দর্পচূর্ণ (১৯১৫)
- মামলার ফল (১৯২০): চরিত্র, শিবু, শম্ভু, গয়ারাম।
- বিলাসী (১৯২০): এ গল্পের বিখ্যাত উক্তি- অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে ‘। ন্যাড়া, বিলাসী মৃতুঞ্জয়।
- মহেশ (১৯২৬): সার্থক ছোটগল্প। এ গল্পের চরিত্র আমেনা, গফুর, মহেশ। গল্পের মহেশ একটি ষাঁড়ের নাম।
- সতী (১৯৩৪)
- অভাগীর স্বর্গঃ চরিত্র- কাঙালীর মা।
- মেজদিদি: চরিত্র- কেষ্ট, হরিলক্ষ্মী, হেমাঙ্গিনী, কাদম্বিনী
- বিন্দুর ছেলে: চরিত্র- যাদব, মধাব, অন্নপূর্ণা,বিন্দুবাসিনী
প্রবন্ধগ্রন্থঃ
- নারীর মূল্য (১৯২৪) – এটি’ অনিলা দেবী ‘ ছদ্মনামে লিখেন।অনিলা দেবী তার বড় বোনের নাম।
- তরুণের বিদ্রোহ (১৯৩০)- প্রবন্ধটি ১৯২৯ সালের ৩০ মার্চ রংপুর বঙ্গীয় যুব সম্মিলনীর অধিবেশনে সভাপতির ভাষণ। এ গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে ‘ সত্য ও মিথ্যা ‘ নামে আরো একটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- স্বদেশ ও সাহিত্য (১৯৩২)
নাটকঃ
- ষোড়শী (১৯২৮)
- রমা (১৯২৮)
- বিরাজ বউ (১৯৩৪)
- বিজয়া (১৯৩৫)
পুরস্কারঃ
- স্বাক্ষরবিহীন প্রেরিত ‘ মন্দির ’ গল্পের জন্য কুন্তলীন পুরস্কার জিয়া, নরেন, বনমালী। লাভঃ ১৯০৩ সালে।
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদকঃ ১৯২৩ সালে।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট ডিগ্রিঃ ১৯৩৬ সালে।
সৈয়দ শামসুল হক
জন্মঃ ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৫
মৃত্যুঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
জন্মস্থানঃকুড়িগ্রাম
সাহিত্যকর্মঃ
সৈয়দ শামসুল হককে সব্যসাচী লেখক বলা হয়।
উপন্যাসঃ
- সীমানা ছাড়িয়ে
- খেলারাম খেলে যা
- এক মহিলার ছবি
- নিষিদ্ধ লোবান ও নীলদংশন
- ত্রাহি
- বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ
গল্পঃ
- তাস
- আনন্দের মৃত্যু
- শীত বিকেল
- জলেশ্বরীর গল্পগুলো
- প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান
- আত্মজীবনী প্রণীত জীবন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুটি উপন্যাসঃ
- নিষিদ্ধ লোবান
- নীলদংশন
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় ‘ তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যনাট্য। এ নাটকের প্রেক্ষাপট মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নের ঘটনা বা আসন্ন বিজয় বার্তা।
অন্যান্য নাটকঃ
- গণনায়ক
- এখানে এখন
- ঈর্ষা
- মুখোশ
- যুদ্ধ এবং যুদ্ধ।
মনে রাখুনঃ
⇒ ‘ নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস অবলম্বনে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাংলা ভাষায় ‘ গেরিলা ‘ নামে
চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
⇒ জাগো, বাহে কুণ্ঠে সবাই ’ এই অবিস্মরণীয় আহ্বান উচ্চারণ করে- সৈয়দ শামসুল হকের ‘ নূরুল দীনের সারাজীবন ‘ নাটকের নূরুল দীন।
পুরস্কারঃ
- বাংলা একাডেমি ১৯৬৬
- একুশে পদক ১৯৮৪
- নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক ১৯৯০
আরও পড়ুনঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর জীবনী ও সাহিত্য কর্ম
সিকান্দার আবু জাফর
জন্মঃ১৯ মার্চ ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যুঃ ৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
জন্মস্থানঃ তেঁতুলিয়া গ্রাম, খুলনা।
সাহিত্যকর্মঃ
উপন্যাসঃ
- নতুন সকাল
- জয়ের পথে
- মাটি আর অশ্রু
- নবী কাহিনী
কাব্যগ্রন্থঃ
- তিমিরান্তক
- প্রসন্ন প্রহর
- বৈরী বৃষ্টিতে
- বৃশ্চিকলগ্ন
নাটকঃ
- সিরাজউদ্দৌলা
- শকুন্তলা
উপাখ্যানঃ
- মহাকবি আলাওল
মনে রাখুনঃ
⇒ তিনি সমকাল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
⇒ আমাদের সংগ্রাম চলবেই তার বিখ্যাত গান।
৪৭তম বিসিএস পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে এখনই এনরোল করুন।
সৈয়দ মুজতবা আলী
জন্মঃ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৪
মৃত্যুঃ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪
জন্মস্থানঃ ব্রিটিশ ভারতে আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেটের করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।পিতার নামঃখান বাহাদুর সৈয়দ সিকান্দার আলী
সাহিত্যকর্মঃ
‘সত্যপীর’, ‘ওমর খৈয়াম’, ‘টেকচাঁদ’, ‘প্রিয়দর্শী’ প্রভৃতি ছদ্মনামে বিভিন্ন পত্রিকায়, যেমন: দেশ, আনন্দবাজার, বসুমতী, সত্যযুগ, মোহাম্মদী প্রভৃতিতে কলাম লিখেন।
উপন্যাসঃ
- অবিশ্বাস্য (১৯৫৪)
- শবনম (১৯৬০)
- শহর-ইয়ার (১৯৬৯)
- তুলনাহীনা (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
ভ্রমণকাহিনীঃ
- দেশে বিদেশে (১৯৪৯)
- জলে ডাঙ্গায় (১৯৬০)
- মুসাফির (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- বিদেশে (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
ছোটগল্পঃ
- চাচা কাহিনী (১৯৫২)
- টুনি মেম (১৯৬৪)
- পঞ্চতন্ত্র (১৯৫২)
- ময়ূরকণ্ঠী (১৯৫৭)
- ভবঘুরে ও অন্যান্য (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- চতুরঙ্গ (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- বড়বাবু (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
প্রবন্ধঃ
- ভাষা সংস্কৃতি সাহিত্য (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- রাজা উজির (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- বিচিত্রা (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা (২০১৫ – বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- দ্বন্দ্বমধুর (২০১৫ – বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- সত্যপীরের কলমে (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- রায় পিথৌরার কলমে (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- কত না অশ্রুজল (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- পরিবর্তনে অপরিবর্তনীয় (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- দু-হারা (২০১৫ – প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
- বাংলাদেশ (২০১৫ – বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
ডায়েরী ও চিঠিপত্র সংকলনঃ
- দিনলিপি (২০১৫ – বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ)
গল্পমালাঃ
- রাজা উজির
- ধূপছায়া
- বেঁচে থাক সর্দি-কাশি
- পুনশ্চ
- পাদটীকা
- মা জননী
- বেল তুলে দু-দু’বার
- স্বয়ংবরা
- শবনম
- রস-গোল্লা (ইংরেজি)
পুরষ্কারঃ
- নরসিংহ দাস পুরস্কার (১৯৪৯)
- আনন্দ পুরস্কার (১৯৬১)।
- একুশে পদক (মরণোত্তর
শামসুর রাহমান
জন্মঃ ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকার মাহুতটুলীতে জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যুঃ ১৭ আগস্ট ২০০৬ সালে ঢাকার পিজি হাসপাতালে মারা যান।
পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতার ‘ দেশ ’ পত্রিকায় ‘ মজলুম আদিব ’ (বিপন্ন লেখক) নামে কবিতা লিখতেন।
সাহিত্যকর্ম
কাব্যগ্রন্থঃ
- প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে(১৯৬০)
- রৌদ্র করোটিতে (১৯৬৩)
- বিধ্বস্ত নীলিমা (১৯৬৭)
- নিরালোকে দিব্যরথ
- নিজ বাসভূমে
- বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২)
- আমি অনাহারী (১৯৭৬)
- ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
- শূন্যতায় তুমি শোকসভা
- বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে
- প্রেমের কবিতা (১৯৮১)
- প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে
- ইকারুসের আকাশ (১৯৮২)
- উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ (১৯৮২)
- বুক তার বালাদেশের হৃদয় (১৯৮৮)
- হরিণের হাড় (১৯৯৩)
- তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন
- সে এক পরবাসে
- গৃহযুদ্ধের আগে
- খণ্ডিত গৌরব
- এক ফোঁটা কেমন অনল
- না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন
- এক ধরনের অহংকার
উপন্যাসঃ
- অক্টোপাস (১৯৮৩)
- নিয়ত মন্তাজ (১৯৮৫)
- অদ্ভুত আঁধার এক (১৯৮৫)
- এলো সে অবেলায় (১৯৯৪)
প্রবন্ধঃ
- আমৃত্যু তার জীবনানন্দ
- কবিতা এক ধরনের আশ্রয়
আত্মকাহিনিঃ
- স্মৃতির শহর (১৯৭৯)
- কালের ধুলোয় লেখা
শিশুতোষঃ
- এলাটিং বেলাটিং (১৯৭৫)
- ধান ভানলে কুঁড়ো দেব (১৯৭৭)
- লাল ফুলকির ছড়া
বিখ্যাত কবিতাঃ
⇒ হাতির শুড়ঃ ১৯৫৮ সালে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে বিদ্রুপ করে সমকাল পত্রিকায় লিখেন।
⇒ টেলেমেকাসঃ ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে বন্দী হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে কবিতাটি লিখেন।
⇒ বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালাঃ ১৯৬৮ সালে আইয়ুব খান পাকিস্তানের সব ভাষার জন্য অভিন্ন রোমান হরফ চালু করার প্রস্তাব করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কবিতা লিখেন।
⇒ আসাদের শার্টঃ ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি আসাদের রক্তমাখা শার্ট দিয়ে বানানো পতাকা দেখে কবিতাটি লেখেন।
⇒ ‘ স্বাধীনতা তুমি ’ ও ‘ তোমাকে পাওয়ার জন্য স্বাধীনতাঃ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে যুদ্ধের ধ্বংসলীলা দেখে কবিতাগুলো রচনা করেন।
⇒ একটি ফটোগ্রাফ- কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লেখা।
⇒ অন্যান্য কবিতাঃ পণ্ডুশ্রম, প্রিয় স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা, বারবার ফিরে আসে।
শওকত ওসমান
জন্মঃ ২ জানুয়ারি ১৯১৭
মৃত্যুঃ ১৪মে, ১৯৯৮
পিতার নামঃশেখ মোহাম্মদ এহিয়া
মাতার নামঃ গুলজান বেগম
জন্মস্থানঃপশ্চিম বঙ্গের হুগলি জেলার সবল সিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
সাহিত্যকর্ম
উপন্যাসঃ
- জননী (১৯৫৮) (প্রথম উপন্যাস)
- ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২)
- সমাগম (১৯৬৭)
- চৌরসন্ধি (১৯৬৮)
- রাজা উপাখ্যান (১৯৭১)
- জাহান্নম হইতে বিদায় (১৯৭১)
- দুই সৈনিক (১৯৭৩)
- নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩)
- পতঙ্গ পিঞ্জর (১৯৮৩)
- আর্তনাদ (১৯৮৫)
- রাজপুরুষ (১৯৯২)
- জলাঙ্গী (১৯৭৬)
- তোলপাড়
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস
- জাহান্নম হইতে বিদায়
- দুই সৈনিক
- নেকড়ে অরণ্য
- জলাঙ্গী
গল্পগ্রন্থ
- জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প (১৯৫২)
- মনিব ও তাহার কুকুর (১৯৮৬)
- ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী (১৯৯০)
- প্রস্তর ফলক
- সাবেক কাহিনী
- জন্ম যদি তব বঙ্গে[মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক]
- পুরাতন খঞ্জর
- বিগত কালের গল্প
- নেত্রপথ
- উভশৃঙ্গ
- পিজরাপোল
- উপলক্ষ
প্রবন্ধগ্রন্থ
- ভাব ভাষা ভাবনা (১৯৭৪)
- সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই (১৯৮৫)
- মুসলিম মানসের রূপান্তর (১৯৮8)
নাটক
- আমলার মামলা (১৯৪৯)
- পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা (১৯৯০)
- তস্কর ও লস্কর
- কাঁকর মনি
- বাগদাদের কবি (১৯৫৩)
শিশুতোষ গ্রন্থ
- ওটেন সাহেবের বাংলো (১৯৪৪)
- মস্কুইটো ফোন (১৯৫৭)
- ক্ষুদে সোশালিস্ট (১৯৭৩)
- পঞ্চসঙ্গী (১৯৮৭)
রম্যরচনা
- নিজস্ব সংবাদদাতা প্রেরিত (১৯৮২)
স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ
- স্বজন সংগ্রাম (১৯৮৬)
- কালরাত্রি খ-চিত্র (১৯৮৬)
- অনেক কথন (১৯৯১)
- গুড বাই জাস্টিস মাসুদ (১৯৯৩)
- মুজিবনগর (১৯৯৩)
- অস্তিত্বের সঙ্গে সংলাপ (১৯৯৪)
- সোদরের খোঁজে স্বদেশের সন্ধানে (১৯৯৫)
- মৌলবাদের আগুন নিয়ে খেলা (১৯৯৬)
- আর এক ধারাভাষ্য (১৯৯৬)
অনূদিত গ্রন্থ
- নিশো (১৯৪৮-৪৯)
- লুকনিতশি (১৯৪৮)
- বাগদাদের কবি (১৯৫৩) (নাটক)
- টাইম মেশিন (১৯৫৯)
- পাঁচটি কাহিনী (লিও টলস্টয়, ১৯৫৯)
- স্পেনের ছোটগল্প (১৯৬৫)
- পাঁচটি নাটক (মলিয়ার, ১৯৭২)
- ডাক্তার আবদুল্লাহর কারখানা (১৯৭৩)
- পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে মানুষ (১৯৮৫)
- সন্তানের স্বীকারোক্তি (১৯৮৫)
অন্যান্য গ্রন্থসমূহ
- মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসসমগ্র
- উপন্যাস সমগ্র ১
- উপন্যাস সমগ্র ২
- উপন্যাস সমগ্র ৩
- গল্প সমগ্র
- কিশোর সমগ্র ১
- কিশোর সমগ্র ২
পুরস্কার
- বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২)
- আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬)
- প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৭)
- একুশে পদক (১৯৮৩)
- মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১)
- স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৭)
- আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৭)
মনে রাখুনঃ
- তাঁর আসল নাম শেখ আজিজুর রহমান।
- হুমায়ুন আজাদ শওকত ওসমানকে বলতেন ‘অগ্রবর্তী আধুনিক মানুষ
প্রমথ চৌধুরী
- জন্ম : ৭ আগস্ট ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দ
- মৃত্যু : ২ ডিসেম্বর, ১৯৪৬
- জন্মস্থান : যশোরে (পিতার কর্মস্থলে)
- পত্রিক নিবাস : পাবনা জেলার চাটমোহর
- প্রবর্তন : বাংলা গদ্যে চলিত ভাষারীতির প্রবর্তক।
তিনি ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন। ছদ্মনাম হিসেবে কখনো বীরবল, কখনো নীললোহিত ব্যবহার করতেন। তিনি মূলত প্রাবন্ধিক। তিনি জীবনে জ্যাঠামি ও সাহিত্যে ন্যাকামি সহ্য করতে পারতেন না। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীর সাথে বিবাহ (১৮৯৯) বন্ধনে আবদ্ধ হন।
- রবীন্দ্রনাথের কথ্য ভাষায় লেখা উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তার চলিত ভাষার আন্দোলন ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
- তিনি চলিত রীতিতে ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় ‘বীরবলের হালখাতা’ নামে প্রথম গদ্য রচনা করেন।
- বাংলা সাহিত্যে ইতালিয় সনেটের প্রবর্তক। ফরাসি সনেটরীতি ট্রিয়লেট, তের্জরিমা ইত্যাদি বাংলা কাব্যে প্রবর্তন করেন। কারণ তিনি ইংরেজি ও ফরাসি সাহিত্যে দীক্ষিত ছিলেন।
- প্রথম প্রবন্ধ ‘জয়দেব’ প্রকাশিত হয় ‘সাধনা’ পত্রিকায় ১৮৯৩ সালে।
- তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধ রচনা করেন।
প্রধান সাহিত্যকর্ম
প্রবন্ধ-গ্রন্থঃ
- তেল-নুন-লাকড়ী (১৯০৬),
- বীরবলের হালখাতা (১৯১৬),
- নানাকথা (১৯১৯),
- আমাদের শিক্ষা (১৯২০),
- রায়তের কথা (১৯২৬),
- নানাচর্চা (১৯৩২),
- আত্মকথা (১৯৪৬),
- প্রবন্ধ সংগ্রহ (১ম খন্ড ১৯৫২, ২য় খন্ড ১৯৫৩) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ এর অর্ন্তগত,
- সাহিত্যের খেলা- [রোদ্যাঁ একজন ব্যক্তির নাম]
কাব্যগ্রন্থঃ
- সনেট পঞ্চাশৎ (১৯১৩),
- পদচারণ (১৯১৯)।
গল্প গ্রন্থঃ
- চার ইয়ারী কথা (১৯১৬),
- আহুতি (১৯১৯),
- নীললোহিত ও গল্পসংগ্রহ (১৯১৪)।
সম্পাদিত পত্রিকাঃ
- মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪),
- বিশ্বভারতী।
পুরস্কারঃ
১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন।
আরও পড়ুনঃ বিসিএস বাংলা ব্যাকরণ প্রস্তুতিঃ ধ্বনি,বর্ণ, লিঙ্গ, বচন (BCS Bangla Preparation)
কায়কোবাদ
জন্ম : ১৮৫২ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানায়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি।
মৃত্যু : ২১ জুলাই, ১৯৫১ সালে।
→ বাঙালি মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রথম মহাকাব্য রচয়িতা।
→ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি।
→ বাঙালি মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রথম সনেট রচয়িতা।
→ তিনি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবীনচন্দ্র সেনের ধারায় মহাকাব্য রচনা করেন।
→ ১৯৩২ সালে ‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলন’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সাহিত্যকর্ম
মহাকাব্যঃ
→ মহাশ্মশান (১৯০৪, পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে রচিত)
কাব্যগ্রন্থঃ
বিরহ বিলাপ (১৮৭০) : মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রকাশিত হয়। (প্রথম কাব্য)
কুসুম কানন (১৮৭৩) অমিয় ধারা (১৯২৩) শিব মন্দির (১৯২১) শ্মশানভষ্ম (১৯২৪)
মহররম শরীফ (১৯৩৩, মহাকাব্যচিত কাহিনি কাব্য)
অশ্রুমালা (১৮৯৬) : গীতিকাব্য
বিখ্যাত কবিতা :
আযান। (কে ওই শোনাল মোর আযানের ধ্বনি। মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী, আমি তো পাগল হয়ে যাই, সে মধুর টানে কি যে এক আকর্ষণে ছুটে যাই মুগ্ধ মনে”)।
কবির মৃত্যুর পর প্রকাশিত গ্রন্থ :
প্রেমের ফুল (১৯৭০) প্রেমের বাণী (১৯৭০)
প্রেম পারিজাত (১৯৭০) মন্দাকিনী-ধারা (১৯৭১)
গওছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ (১৯৭৯)
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
- জন্ম : ৯ ডিসেম্বর, ১৮৮০
- মৃত্যু : ৯ ডিসেম্বর, ১৯৩২
- জন্মস্থান : রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামের জমিদার পরিবারে
- পৈতিক নাম রোকেয়া খাতুন। ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট স্বামীর উৎসাহে ভাগলপুরে বাসকালে সাহিত্য সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯০৯ সালের ৩ মে সাখাওয়াত হোসেন মারা যান।
- তিনি বাংলা ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ হিসেবে খ্যাত।
- তাঁর জন্ম ও মৃত্যু ৯ ডিসেম্বর হওয়ায় ৯ ডিসেম্বরে ‘রোকেয়া দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
- ১৯১১ সালে তিনি কলকাতায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রধান সাহিত্যকর্মঃ
প্রবন্ধ গ্রন্থ
- অবরোধবাসিনী – লেখিকার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এটি একটি নকশাধর্মী গদ্যগ্রন্থ।
- মতিচুর – লেখিকার রচিত প্রথম গ্রন্থ।
সৌরজগৎ, ডেলিসিয়া হত্যা, জ্ঞান-ফল, নারী-সৃষ্টি, নার্স -নেলী প্রভৃতি রূপকথার গল্প ২য় খণ্ডে রয়েছে।
- নারীর অধিকার – লেখিকার শেষ রচনা।
উপন্যাস
- পদ্মরাগ- নবনূর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ সকল পত্রিকায় মিসেস আর এস হোসেন নামে লেখা হত। এই উপন্যাসটিকে উপন্যাসোম গদ্য আখ্যায়িকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- সুলতানার স্বপ্ন’ (Sultana’s Dream) – ইংরেজিতে লেখা উপন্যাস। উপন্যাসটির অনুবাদ গ্রন্থের নাম ‘সুলতানার স্বপ্ন’। তিনি নিজেই এর অনুবাদ করেন। এই উপন্যাসে ‘Lady land’ এর উল্লেখ আছে।
দীনবন্ধু মিত্র
- জন্মস্থান : নদিয়া জেলার চৌবেড়িয়া ।
- পিতা : কালাচাঁদ মিত্র।
- উপাধি : রায়বাহাদুর।
- দীনবন্ধুর পিতৃদত্ত নাম ছিল ‘গন্ধর্ব নারায়ণ’।
প্রধান সাহিত্য কর্ম
নাটক
- নীল দর্পণ (১৮৬০);
- নবীন তপস্বিনী (১৮৬৩);
- লীলাবতী (১৮৬৭);
- কমলে কামিনী (১৮৭৩)
প্রহসন
- সধবার একাদশী (১৮৬৬);
- বিয়ে পাগলা বুড়ো
- জামাই বারিক
কাব্য
- সুরধুনী কাব্য,
- দ্বাদশ কবিতা
নীল দর্পণ :
- ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম ছাপাখানা ‘বাংলা প্রেস (১৮৬০)’ হতে মুদ্রিত প্রম গ্রন্থ হলো ‘নীল দর্পণ’ ।
- নীল দর্পণ নাটকটি রেভারেন্ড জেমস্ লঙ এর প্রকাশনায় ১৮৬১ সালে মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক A Native ছদ্মনামে ইংরেজীতে ‘The Indigo planting Mirror’’ নামে প্রকাশিত হয়।
- এর প্রধান চরিত্র : নীল মাধব। দীনবন্ধু মিত্র নীলকর সাহেবদের বীভৎস অত্যাচারের কাহিনী এই নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
- এই নাটকটিকে টহপষব Uncle Tom’s Cabin এর সাথে তুলনা করা হয়।
বিহারীলাল চক্রবর্তী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিহারীলাল চক্রবর্তীকে ‘ভোরের পাখি’ নামে অভিহিত করেছেন। তিনি আধুনিক বাংলা গীতিকাব্যের প্রথম ও প্রধান কবি। বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা ‘গীতিকবিতা’ [১২তম বিসিএস]।
প্রধান সাহিত্যকর্ম
কাব্যগ্রন্থ
সারদামঙ্গল, সংগীত শতক, সাধের আসন, বঙ্গসুন্দরী, প্রেম প্রবাহিনী, বন্ধুবিয়োগ, নিসর্গ সন্দর্শন।
সারদামঙ্গল মঙ্গল কাব্যের আখ্যানে রচিত আধুনিক কবিতা এবং বিহারীলালের শ্রেষ্ঠ কাব্য।
সংগীত শতক তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
বিসিএস ব্যাংক সহ বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্যের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আজকের এই আর্টিকেলে উল্লেখযোগ্য কবিদের সাহিত্যকর্ম জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই আর্টিকেলটি কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।