ব্যাংক জব বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন খুবই আকর্ষণীয়। সামাজিক সম্মান, আকর্ষণীয় বেতনের জন্য ব্যাংকিং ক্যারিয়ার এখন অনেকেরই স্বপ্ন। এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্রয়োজন সঠিক উপায়ে গোছানো প্রস্তুতির সঠিক নির্দেশনা। আজকের আর্টিকেলে তাই আমরা বাংলাদেশ ও সমন্বিত ব্যাংক জব প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন তা আলোচনা করবো।
বাংলাদেশ ও সমন্বিত ব্যাংক জব পরীক্ষা
সাধারণত ব্যাংক জব পরীক্ষাটি মূলত তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়-
► প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রিলি
► পরে ২০০ নম্বরের রিটেন পরীক্ষা এবং
► ২৫ নম্বরের ভাইভা
বাংলাদেশ ও সমন্বিত ব্যাংক জব প্রস্তুতির কিছু পরামর্শ
সাধারণত এমসিকিউ পরীক্ষায় ইংরেজী, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার ও প্রযুক্তির উপর ১০০ নম্বর থাকে।
তাহলে পাশ করতে কত লাগে ? কিন্তু পাশ মার্ক নির্ভর করে মোট শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, মোট আসন প্রভৃতির উপর। এমসিকিইউ পরীক্ষার মার্ক মূল মার্কস এর সাথে যোগ হয় না তাই বেশি সংখ্যক উত্তর দিয়ে রিস্ক নেয়া ঠিক হবে না।
ব্যাংক জব প্রস্তুতি নিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
১. কমপক্ষে ২.৫- ৩.৫ মাস অথবা ৩.৫-৪.৫ মাস সময় নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পড়ার একটা রুটিন তৈরী করুন।
২. ব্যাংকের বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করুন -প্রথমেই বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য সরকারী ব্যাংকের (কমপক্ষে ৮-১০ বছরের) প্রশ্ন আগে শেষ করুন।
৩. গুরুত্বপূর্ণ ও কনফিউজিং তথ্যগুলো নোট করে রাখতে ভুলবেন না। এগুলো কভার করতে গিয়ে আপনার স্ট্রেন্থ ও উয়িকনেকস বের হয়ে আসবে।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংক জব প্রস্তুতি: যেভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন
বাংলাদেশ ও সমন্বিত ব্যাংক জব পরিপূর্ণ প্রস্তুতি প্রোগ্রাম
আপনার ব্যাংক জবের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন সঠিক সময়ে একটা নির্দিস্ট স্টাডি প্ল্যান। সেই স্টাডি প্ল্যান অনুযায়ী পড়াশনা করার সাথে পরীক্ষা দিয়ে আপনার প্রস্তুতিকে শাণিত করতে পারবেন। তাই বাংলাদেশ ও সমন্বিত ব্যাংক জব পরিপূর্ণ প্রস্তুতি প্রোগ্রামটি নিতে পারেন।
এই প্রোগ্রামে আছে- 👉 বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষা ৩৫ টি 👉 রিভিশন টেস্ট ১৪ টি 👉 পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট ১০ টি
বাংলাদেশ ও সমন্বিত ব্যাংক জব পরিপূর্ণ প্রস্তুতির রুটিন ও সিলেবাস
ব্যাংক জব পরীক্ষার নির্দিস্ট কোনো সিলেবাস নেই। কিনুত বিভিন্ন ব্যাংক পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে একটা সিলেবাস ধরা হয়। ব্যাংক জবের প্রস্তুতির রুটিনে তাই সিলেবাসকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে কাভার করা হয়েছে। সাথে রিভিশন টেস্ট ও পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট রাখা হয়েছে।
এবার চলুন দেখে নিই কিছু বই এর তালিকা যা আপনার প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।
বাংলা
১.মুনীর চৌধুরীর (৯ম-১০ম শ্রেণীর বোর্ড বই) বাংলা ভাষার ও ব্যাকরণ বইটি পড়তে পারেন।
২. বাংলার সাহিত্যকর্ম থেকে ভাষার বিভিন্ন যুগ, চর্যাপদ, আদি, মধ্যযুগরে সাহিত্যকর্ম ইত্যাদি পড়তে পারেন। এগুলোর জন্য বিসিএস প্রস্তুতির বাংলা সাহিত্য বই যেমনঃ প্রফেসর সিরিজের বই, সৌমিত্র শেখর স্যারের বইগুলো দেখতে পারেন।
৩. বিগত বছরের প্রশ্নব্যাংক ও সমাধান দেখতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ব্যাংক জব প্রস্তুতি: যেভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন
ইংরেজী
১ Synonym/ antonym/ Analogy/one word substitution-এর জন্য একটা ভালো মানের বই পড়তে পারেন। যেমন- সাইফুর’স এর বই দেখতে পারেন।
২. ইন্ডিয়া বিক্স, সাওয়াল ডট কম প্রভৃতি নামে কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখে নিতে পারেন। গ্রামারের জন্য Cliff’s এর TOEFL, Wrein & martin er grammar বই দুটো বেশ ভাল।
৩. বিগত বছরের প্রশ্ন-সমাধান।
গণিত
১. গণিতের জন্য বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান এর যেকোনো ভালো মানের বই দেখতে পারেন। প্রফেসরস সিরিজ সাইফুর’স ম্যাথ বইটাও ভাল।
২. খাইরুল ব্যাংক রীটেন ম্যাথ বইটি দেখতে পারেন।
৩. ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির পাঠ্য বই হাতের কাছে রাখবেন।
সাধারণ জ্ঞান
১. সাধারণ জ্ঞানের জন্য কারেন্ট ওয়াল্ড/এ্যাফেয়ার্স প্রভৃতি হবে। তাছাড়া ব্যাংকিং, খেলাধুলা, অর্থনীতি, বাজেট, নোবেল পুরস্কার, বিভিন্ন দেশের ব্যাংক ও মুদ্রা প্রভৃতির উপর গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে।
২. নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা পড়বেন ।
৩. বাজারের যেকোন সিরিজের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বই । যেমনঃ প্রফেসরস/Mp3 ইত্যাদি।
কম্পিউটার ও প্রযুক্তি:
১. কম্পিউটার অংশের জন্য তথ্য প্রযুক্তি (৯ম-১০ম শ্রেণীর বোর্ড বই) এর সহায়তা নিতে পারেন। বিগত বছরের প্রশ্ন গুলো শুদু সমাধান না করে প্রশ্নের ব্যাখ্যা সহ উত্তর এবং এর রিলেটেড তথ্য পড়ে নিবেন। যেমন-Easy Guide etc.
২. বিগত বছরের প্রশ্ন পত্র সমাধান।
বাংলাদেশ ও সমন্বিত ব্যাংক জব পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আজ এই পর্যন্তই।
